বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার হয়ত অবসান হতে চলেছে অপেক্ষার। অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত দিল হাইকোর্ট। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের বিষয়টি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে আটকে রয়েছে। আদালতে মামলায় আটকে রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ। এই আবহে স্কুল সার্ভিস কমিশন হাইকোর্টে জানায় যাতে দ্রুত শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ করা যায়।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল আজ। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে, বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ। শুরু করা যেতে পারে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজও।” উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে সেই ২০১৬ সাল থেকে।
আরোও পড়ুন : শুরু হয়ে গেল UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া! পদ্ধতি থেকে সিলেবাস, জেনে নিন বিস্তারিত
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর কাউন্সিলিং সম্পন্ন হয়েছে, তবে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ রয়েছে সুপারিশ পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু এবার শর্তসাপেক্ষে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ করতে চায় কমিশন। সেই ব্যাপারেই কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বারস্থ হওয়া হাইকোর্টে। আজ বিচারপতি শুনানি চলাকালীন প্রশ্ন করেন।
আরোও পড়ুন : হাঁটতে পারে না প্রেমিক, হুইলচেয়ারে করেই ভ্যালেন্টাইনস ডে সেলিব্রেশন তরুণীর! ভাইরাল ভিডিও দেখে মুগ্ধ সবাই
তিনি বলেন, “কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব ? এই মামলায় মামলাকারীর সংখ্যা কত ?” বিচারপতি নির্দেশ দেন এই বিষয়টি হাইকোর্টকে জানাতে।আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর বিচারপতিকে বলেন, “আপনার কাছে যে মামলাগুলি আছে, সেখানে যদি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখেন তাহলে ঠিক আছে, আর আপনি যদি তার বিপক্ষে যান তাহলেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে।”
তখন মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সুবীর স্যান্ন্যাল বক্তব্য রাখেন, “অসাংবিধানিক ভাবে কেউ চাকরি পেতে পারে না।” এরপর বিচারপতি বলেন, “আপনার মূল লক্ষ্য চাকরি পাওয়া। আমরা এখুনি কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। প্রয়োজনে তাদের বিষয়টি আলাদা করে শোনা হবে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টোয়।