DA অসন্তোষের মাঝেই আরও একটি বড় ঘোষণা, আনন্দে লাফাচ্ছেন রাজ্য সরকারের সরকারি কর্মীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর শেষে খুশির খবর রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের (State Government Employees)। ৪ শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধির পর এবার চিকিৎসা খাতেও বিশেষ ঘোষণা করল নবান্ন (Nabanna)। অর্থ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা পাবেন বিশেষ সুবিধা। এবার থেকে চিকিৎসা হবে ক্যাশলেস মোডে (Free Treatment)।

সদ্যই রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে যে, ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস মোডে হবে চিকিৎসা। আপাতত এই সুবিধা মিলবে রাজ্যের একটি  সরকারি হাসপাতালেই। সেটি হল রাজ্যের সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল SSKM। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চালু করা হবে এই পরিষেবা। তবে খরচ যদি ২ লক্ষ টাকার বেশি হয় সেক্ষেত্রে হাসপাতালের নিয়ম মেনেই বিল পেমেন্ট করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সুবিধা পাবেন মূলত রাজ্য সরকারি কর্মীরা এবং পেনশনভোগীরা। পশ্চিমবঙ্গ হেল্থ স্কিম নামে যে সরকারি যোজনা আছে, তার আওতায় থাকলে এই বিশেষ সুবিধা মিলবে। সূত্রের খবর, আগামি ২০২৭ পাল পর্যন্ত বহাল থাকবে এই পরিষেবা। সেই সাথে কোন খাতে কত খরচ ধার্য করা হবে সেই বিষয়েও বিশদ আপডেট দেওয়া হয়েছে নোটিশে।

আরও পড়ুন : রামতীর্থ অযোধ্যায় নমো, হল গ্র্যান্ড ওয়েলকাম, শহরবাসীকে ১৬ হাজার কোটি টাকার উপহার প্রধানমন্ত্রীর

সিঙ্গেল বড় কেবিনের জন্য দৈনিক খরচ ধার্য্য করা হয়েছে ৪০০০ টাকা। সিঙ্গেল ছোট কেবিনের জন্য ধার্য্য করা হয়েছে ২৫০০ টাকা। ডাবল কেবিনের জন্য ধার্য্য করা হয়েছে ২০০০ টাকা। যদি রোগীর নাম সরকারি প্রকল্পের আওতায় থাকে তাহলে বিনামূল্যে ওষুধও মিলবে বলে খবর। তবে প্রয়োজন বিশেষে ওষুধ বাইরে থেকেও কিনতে হতে পারে। সেই সাথে যোগ হবে খাবার এবং আয়ার খরচ।

আরও পড়ুন : কড়া হল পর্ষদ! রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি, না মানলেই সমস্যায় পড়বে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা

70051220

দৈনিক খাবার খরচ ধরা হয়েছে ৩৩৬ টাকা এবং আয়ার খরচ ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা। সেই সাথে বিজ্ঞপ্তিতে এটাও বলা হয়েছে যে, চিকিৎসা চলাকালীন যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে তার দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। খরচ বাকি থাকলে তার বিলের জন্য রোগীর পরিবারকে হয়রান হতে হবেনা। বকেয়া বিল চলে যাবে অর্থ দফতরের কাছে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর