বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্কের অপর নাম উরফি জাভেদ (Urfi Javed)। অভিনেত্রী হয়েও অভিনয় না, বরং পোশাকের জন্য বেশি পরিচিত তিনি। বিগ বস OTT তে অংশ নিয়েও সবার আগে তিনিই বিতাড়িত হয়েছিলেন ঘর থেকে। তবুও বিগ বস বিজেতার থেকেও সম্ভবত খ্যাতি বেশি উরফির। আর কে না জানে, খ্যাতির সঙ্গে সমালোচনাও আসে বিনামূল্যে।
অত্যন্ত খোলামেলা পোশাক পরার জন্য নিত্যদিন লাইমলাইট কেড়ে নেন উরফি। তাঁকে বিতর্কের অন্ত নেই। এমনকি মৌলবাদীদের নিশানাতেও উঠে এসেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উরফি বলেন, তাঁকে ‘মুসলিম বিরোধী’র তকমা দেওয়া হয়েছে।
উরফির কথায়, “আমি আগেই বলেছি যে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করি না আমি। তাও আমি বুঝি না কেন লোকজন আমাকে দেশদ্রোহী, মুসলিম বিদ্বেষীর তকমা দেয়। মেয়েদের জন্ম থেকেই কিছু নিয়ম পালন করতে বলা হয়। আর যখনি সেই নিয়ম গুলো মানা বন্ধ করে দেওয়া হয় ওমনি সে খারাপ। আমার সঙ্গেও সেটাই হচ্ছে। আমি মুসলিম ধর্ম পালন করি না। আমার জন্ম হয়েছে এই ধর্মটা নিয়ে। আমি এই ধর্মে বিশ্বাস করি না। আমার মতে বিশ্বাসটা মন থেকে আসা উচিত। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।”
ক্ষুব্ধ উরফি আরো বলেন, “আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়, ইসলামের নাম বরবাদ করছি। কে বলেছে ইসলামের ভার আমার কাঁধে ফেলতে? ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব তো আমি নিয়ে রাখিনি। আজমল কাসভ এত মানুষ মারল, সে ইসলামের নাম বরবাদ করল না। আর আমি ছোট পোশাক পরি বলে ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে!”
এখানেই শেষ নয়। উরফি জানান, কর্মক্ষেত্রেও প্রতিনিয়ত হেনস্থা হতে হচ্ছে উরফিকে। এক কাস্টিং ডিরেক্টর নাকি তাঁকে বলেন, পোশাক বিতর্কের জন্য তাঁর নামে যেভাবে কাদা ছিটেছে তাতে তো টিভি সিরিয়ালে আর কাজ পাবেন না উরফি। তাই তিনি অ্যাডাল্ট ছবিতে কাজ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। মুখের উপরে তাঁকে না বলে বেরিয়ে আসেন উরফি।