বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুরু থেকেই সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারনা গুলিকে চ্যালেঞ্জ করে আসছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ (ei poth jodi na sesh hoy)। এখনো পর্যন্ত টিআরপি তালিকার এক থেকে দশের মধ্যে নাম না তুলতে পারলেও প্রত্যেকটি চরিত্রায়ন এবং কলাকুশলীদের সাবলীল অভিনয়ের জোরে দ্রুত দর্শকদের মন জয় করছে এই সিরিয়াল।
একের পর এক এপিসোডে প্রচলিত ধারনার বাইরে গিয়ে সমাজের একটা বড় অংশকে চ্যালেঞ্জ করছে সাত্যকি এবং ঊর্মি (urmi)। অত্যন্ত ধনী বাড়ির মেয়ে হয়ে মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারের ছেলে সাত্যকিকে বিয়ে করেছে সে। দুই পরিবারের আর্থিক অবস্থার আকাশ পাতাল তফাৎ। নিজের বাড়িতে ঊর্মি রাজকন্যা।
সাত্যকিবাবুর বাড়িতে এসে অকূল পাথারে পড়ে সে। কিন্তু এমন তো কোথাও লেখা নেই, মেয়েদেরই শ্বশুরবাড়িতে এসে মানিয়ে নিতে হবে। উদ্যোগটা দু তরফেই হওয়া দরকার। সেই প্রয়োজনীয়তাটাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে এই সিরিয়াল। শ্বশুরবাড়িতে এসেও এ বাড়ির আদরের বৌমা, নাতবৌ হয়ে উঠেছে ঊর্মি। কিন্তু সম্প্রতি সে এমন এক কাণ্ড করে বসেছে যে তার শ্বশুরবাড়িরও মাথায় হাত পড়েছে।
সিরিয়ালের আসন্ন এপিসোডের প্রোমোতে দেখা গিয়েছে ঊর্মির শ্বশুরবাড়ির মেয়েরা সকলে মিলে নাড়ু বানাচ্ছে জন্মাষ্টমীর পুজোর জন্য। ঊর্মিও চেষ্টা করে কিন্তু নাড়ু আর তার হাতে হল কই! শেষে মাথা খাটিয়ে এক সারপ্রাইজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ঊর্মি। সকলে যখন পুজোর জোগাড় করছে গোপালের জন্মদিনের জন্য এক বড়সড় চকোলেট কেক নিয়ে হাজির ঊর্মি।
নাতবৌয়ের কাণ্ড দেখে মাথায় হাত সকলের। ডিম দেওয়া কেক পুজোর প্রসাদে দেখে পুরোহিত তো রেগেমেগে পুজো ছেড়েই উঠে পড়লেন! এদিকে ঊর্মির যুক্তি, গোপাল তো বাড়ির ছেলের মতোই। তাহলে তার জন্মদিনে কেক হবে না কেন?
https://www.instagram.com/p/CTZG-LkBqQl/?utm_medium=copy_link
ঊর্মির এই যুক্তি নিয়েই দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা। একাংশের বক্তব্য, হিন্দু ধর্মের কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা আছে। ডিম আমিষ, পুজোর কাজে তা ব্যবহার হতে পারে না। আবার অনেকে বলছেন, গোপাল শিশুর মতো। তাকে যেমন ভোগ দেওয়া যায় তেমনি ভালবেসে দিলে কেক, চকোলেটও খায় গোপাল। তবে অবশ্যই তা ডিম ছাড়া সম্পূর্ণ নিরামিষ হতে হবে।