বাংলা হান্ট ডেস্কঃ JNU এর বিতর্ক কমার নামই নিচ্ছে না। গত পাঁচই আগস্ট জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হওয়া অশান্তির পর দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া গরম হয়ে উঠেছিল। একদিকে যেমন বিজেপি বিরোধী দল গুলো বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলোকে এই ঘটনার পিছনে দায় করেছিল। তেমনই আরেকদিকে শাসক দল বিজেপি এই ঘটনায় তাঁদের কোন হাত নেই বলে জানিয়ে বামেদের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছিল।
এই ঘটনার পর দেশের বিশিষ্ট মহল এবং বলিউড থেকেও নানান প্রতিক্রিয়া আসে। বলিউডের অনেক নক্ষত্রই JNU এর পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। আর বিজেপি বিরোধী দল গুলো কেন্দ্র সরকার আর দিল্লী পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। এরপর JNU এর বাম ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর দাবীতে রাস্তায় নেমে মিছিল করে। সেখানেও ঘটে বিপত্তি। দিল্লী পুলিশ JNU এর ছাত্রদের মিছিল আটকালে দিল্লী পুলিশের উচ্চ পদস্থ অফিসারের হাতে কামড়ে দেয় JNU এর এক ছাত্রী।
এরপর গতকাল দিল্লী পুলিশ একটি প্রেস কনফারেন্স করে JNU কাণ্ডের দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি করে। আর সেই ক্রমে তাঁরা ৯ জন ছাত্র/ছাত্রীর নাম প্রকাশ করেন। আর ওই ৯ জনের মধ্যে সাত জনই বাম সংগঠনের সাথে যুক্ত। দিল্লী পুলিশ জানায় যে, বামেরাই JNUতে হামলা চালিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। আর ১লা জানুয়ারি থেকে বাম সংগঠন গুলো ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়া থেকে শুরু করে সিকিউরিটি গার্ডকে পর্যন্ত মারধর করেছিল।
দিল্লী পুলিশ জানায় যে, বাম নেত্রী ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে বাম ছাত্র সংগঠন JNUতে হামলা করে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন JNU ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি ঐশী ঘোষ। এবার বাম নেত্রী ঐশী ঘোষকে নিয়ে আরও একটি বিতর্ক সামনে এসেছে। JNU এর হামলার প্রতিবাদে ঐশী ঘোষ নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি প্রতিবাদী পোস্ট করেছিলেন। আর সেই পোস্ট ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
We have been beaten up, attempt of murder have happened inside our campus but still everyone in the Administration is silent.https://t.co/b7vXu2lkyW#FeesMustFall#JNUVCMustResign pic.twitter.com/ih5cf872J4
— Aishe (ঐশী) (@aishe_ghosh) January 9, 2020
গোটা দেশে JNU একটি প্রতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেখানে পড়ুয়ারাও যথেষ্ট পরিমাণে উচ্চ শিক্ষিত হয়। কারণ উচ্চ শিক্ষিত না হলে JNUতে সুযোগ পাওয়া আর ডুমুরের ফুল দেখা প্রায় একই ব্যাপার। কিন্তু JNU এর ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি ঐশী ঘোষ ওই ট্যুইটে ভুলভাল ইংরেজি লিখে ট্রলের শিকার হন। এখন সবার বক্তব্য হল, JNUতে যেহেতু উচ্চ শিক্ষিতরাই সুযোগ পায়। সেহেতু ঐশী ঘোষ উচ্চ শিক্ষিত হয়েও এত ভুল ইংরেজি কেন? তাহলে কি উনি পড়াশুনা বাদ দিয়ে শুধু রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত?