বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেশ কয়েকটা বাংলা সিরিয়াল এবং ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের দৌলতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী ঊষসী রায় (Ushasi Ray)। এখন ছোটপর্দা থেকে দূরে সরে কেরিয়ার বানানোর চেষ্টা করলেও দর্শকরা এখনো তাঁকে বকুল বা কাদম্বিনী হিসাবেই মনে রেখে দিয়েছেন।
আজ মহালয়া। দেবীপক্ষ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির পুজোও শুরু হল আজ থেকেই। এখন অবশ্য সবই সুপার ফাস্ট। মহালয়ার আগেই পুজো উদ্বোধন করে প্রতিমার মুখ উন্মোচন করে দেওয়া নিয়ে হয়েছে বিতর্কও। তবে মণ্ডপ খুলে যাওয়ায় অনেকেই মহালয়া থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছেন।
ঊষসী অবশ্য এখন বেশ ব্যস্ত। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ী তথা নুসরত জাহানের প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈনের সংস্থায় পুজোর মুখ হয়েছেন তিনি। এক নিমেষে যেন জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে ঊষসীর। তবে পুজোর আমেজটা তাঁর কাছে এখনো একই রকম আছে। এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, খাস কলকাতার মেয়ে হওয়ায় পুজোর আগে থেকেই উত্তেজনা ভরপুর টের পেতেন তিনি। এখনো কমেনি সেই উত্তেজনা।
এখন তিনি নামী অভিনেত্রী। শুটের জন্য সারা বছর ধরেই কেনাকাটা চলতেই থাকে। তবে পুজোর দিনগুলো এখনো স্পেশ্যাল। এই সময় আলাদা করে একটু কেনাকাটা না করলে চলে নাকি? তবে ঊষসী জানান, এখন কেনার থেকে দেওয়ার চলটা আরো বেশি বেড়ে গিয়েছে।
পুজোর সময় কেমন ফ্যাশন রাখবেন? সেই সন্ধানও দিয়েছেন ঊষসী। এখন শাড়ির প্রতি বিশেষ প্রেম জেগেছে তাঁর। তাই শাড়ি দিয়েই পুজোর চারদিনের স্টাইলিং করেছেন তিনি। ষষ্ঠীর দিন সারাদিন ঘুরতে একটু হালকা সাজই রাখবেন ঊষসী। হালকা শাড়ির সঙ্গে খোঁপা করে বাঁধা চুল আর অক্সিডাইসড গয়না।
সপ্তমীতে অবশ্য একটু জমকালো সাজারই ইচ্ছা আছে ঊষসীর। হালকা রঙের শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় লাল গোলাপ লাগালে জমে যাবে পুজোর সাজ। আর অষ্টমীর জন্য তো সেরা শাড়িটাই বেছে রাখা থাকে। নবমীতে থাকুক হাল ফ্যাশনের শাড়ি। আর দশমীতে ভরসা নিজের দশভূজা মায়ের শাড়ি।
পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত প্রেম। কিন্তু পুজোয় প্রেমের সৌভাগ্য হয়ইনি ঊষসীর। পুজোর আগেই ভেঙে যেত প্রেম। তাই প্রেমিকের থেকে পুজোর বিশেষ শাড়িও পাননি তিনি। কিছুদিন আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে ঊষসী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রেম করছেন তিনি। এবারে পুজোর শাড়ি কি পেয়েছেন তিনি, সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর