বাংলা হান্ট ডেস্ক : দৈব মোক্ষ লাভের আশায় আত্মাহুতি দিলেন উত্তর প্রদেশের রঘুনাথপুর গ্রামের এক যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। দেবাদিদেব মহাদেবকে খুশি করতে গিয়ে মন্দিরের সামনে গাছ কাটার যন্ত্র দিয়ে গলাই কেটে ফেললেন তিনি। আর এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকলো ললিতপুর শিব মন্দিরে উপস্থিত ভক্তরা।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। দীপক কুশওয়াহা নামক ঐ যুবক এই গ্রামেরই বাসিন্দা। তিনি মজুরি করে নিজের এবং পরিবারের ভরণপোষণ করেন। তার দুই সন্তানও রয়েছে বলে খবর। দীপকের নেওয়া এই সিদ্ধান্তে কার্যত ভেঙে পড়েছে তার গোটা পরিবার।
জানা যাচ্ছে দীপক ভোলানাথের একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি দীর্ঘকাল ধরেই সকাল-সন্ধ্যা ভগবান ভোলেনাথের পূজা করেন। এবং গত কয়েক মাস ধরে তিনি বলছিলেন গলা কেটে ভগবান ভোলেনাথকে খুশি করবেন। তার বাড়ির লোকজন অনেকবারই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। তবে তিনি কারও কথাই শুনতে রাজি ছিলেননা।
আরও পড়ুন : ‘ও একেবারেই নির্দোষ’, ছেলে গ্রেফতার হতেই ফোঁস করে উঠলেন যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত আসিফ আজমলের মা
ঘটনার পর দীপক কুশওয়াহার ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মধ্য থেকে একটি ডায়েরি খুঁজে পাওয়া গেছে। যেখানে তিনি ভোলানাথের মন্ত্র ও বাণী লিখতেন। এই চিরকুটের এক জায়গায় লেখা ছিল ভগবান ভোলেনাথকে মাথা নিবেদন করবেন। সেইমত মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে তিনি গ্রামের মন্দিরে যান। সেখানে তিনি গাছ কাটার যন্ত্র দিয়ে ভগবান ভোলেনাথের মঞ্চের সামনে গলা কেটে জপ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন : আজ শ্রীরামকৃষ্ণের প্রয়াণ দিবস, মৃত্যুর আগে এই বিশেষ জিনিসটি খেতে চেয়েছিলেন ঠাকুর
কাটার মেশিনে মাথা রাখার পর তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন কোনোমতে মেশিনের ভেতরে আটকে পড়া যুবককে বের করেন। যুবকের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তড়িঘড়ি করে দীপককে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, দীপকের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না।