উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসার সিলেবাসে বড় বদল, ‘ঔরঙ্গজেব নয়, রামকেই চিনুক পড়ুয়ারা’, বলছে ওয়াকফ বোর্ড

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের পরপরই বড় বদল। আসন্ন মার্চ থেকেই উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) অনুমোদিত মাদ্রাসার নতুন পাঠ্যপুস্তকের নয়া সংযোজন হতে চলেছে ‘রাম কথা’ (Ram Katha)। অর্থাৎ এবার থেকে মাদ্রাসাতেও (Madrasa) পড়ানো হবে রামের গল্প। দেরাদুনের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শামস (Shadab Shams) বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিশুরা ঔরঙ্গজেবের মতো নয়, ভগবান রামের মতো হয়ে উঠুক।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে মোট ১১৭টি মাদ্রাসা রয়েছে। এবং এই ১১৭টি মাদ্রাসার মধ্যে দেরাদুন, হরিদ্বার, উধম সিং নগর ও নৈনিতাল জেলার মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্ত করা হবে ভগবান শ্রীরামের গল্প ‘রাম কথা’। এইদিন শাদাব শামস আরও বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নবী মহম্মদের পাশাপাশি ভগবান রামের জীবন কাহিনীও শেখানো হবে। অভিজ্ঞ মুসলিম ধর্মগুরুরাও এই পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছেন।’

সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই নয়া সিলেবাস চালু করার কথা ভাবছে ওয়াকফ বোর্ড। পুরুষোত্তম শ্রীরামের কাহিনীর সাথে পরিচয় করানো হবে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের। ঔরঙ্গজেবের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘শিশুদের এমন নবাবের কাহিনী পাঠ করিয়ে কী লাভ, যিনি নিজের পিতাকে বন্দি বানিয়েছিলেন, নিজের ভাইদের শিরচ্ছেদ করেছিলেন। ভারতীয় মুসলমানরা আরব বা আফগান নয় এবং তারা ভারতের সাংস্কৃতিক আইকন সম্পর্কে শিক্ষা দেবে।’

আরও পড়ুন : ‘কারও কাছে কখনও কিছু চাইনি’, ‘পদ্মভূষণ’ পেয়ে আপ্লুত মিঠুন চক্রবর্তী, আবেঘন বার্তা মহাগুরুর

শামসের মতে, ভারতীয় মুসলমান কোনও আরব, মঙ্গোল বা আফগান নয়। এবং রাম হল ভারতীয় সংস্কৃতির আইকন। তাই ছাত্রছাত্রী মাদ্রাসার হোক কী অন্য যে কোনও স্কুলের, নিজস্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার। এই সংস্কৃতি তাদের মধ্যে উচ্চ মূল্যবোধ তৈরি করবে। বলে রাখা ভালো, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরপরই এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : শিব মন্দিরে ভাঙচুর, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে উত্তপ্ত হাওড়া! মমতার বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ বিজেপির

nationalherald 2020 05 09ce1443 8e17 4511 989d aa6c6f618241 up madrassa 1

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে এক সমীক্ষার পর রাজ্যের ৩০৭টি মাদ্রাসাকে বেআইনি ঘোষণা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, একাধিক সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেছিল এই মাদ্রাসাগুলি। সেই ঘোষণার দুই বছরের মাথায় বড় পদক্ষেপ নিল মাদ্রাসা।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর