বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বকে টিকিয়ে রাখতে উপনির্বাচন করানোটাই এখন প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল এবং সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee)। কিন্তু এই করোনা আবহে সম্পূর্ণ টিকাকরণ না হলে, উপনির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
আগামী ৫ ই নভেম্বরের মধ্যে ভবানীপুর আসন থেকে জয়লাভ করতে না পারলে, নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিতে হবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীকে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ভবানীপুর-সহ রাজ্যে সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন চাইছে গোটা তৃণমূল শিবির। কিন্তু এদিকে আবার রাজ্য জুড়ে করোনা বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর জারি করা নির্দেশিকাই স্মরণ করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যে এখন উপনির্বাচন করার মত পরিস্থিতি হয়েছে নাকি! রাজ্য সরকার করোনা নির্দেশিকায় বলেছে- ধর্মীয় শোভাযাত্রা, রাজনৈতিক মিটিং মিছিল, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। আর নির্বাচন মানেই তো রাজনৈতিক নেতাদের মিটিং, মিছিল, প্রচার, অনেক মানুষের একসঙ্গে সমাগম। তাহলে প্রচার না করেই কিভাবে উপনির্বাচন হবে? এখানে যে ভোটের পরিবেশ নেই, সেটা রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাই বলে দিচ্ছে’।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল বলেছিল, আধা সামরিক বাহিনী এবং বহিরাগত বিজেপির নেতারা এসেই করোনা ছড়িয়েছে। তাহলে তো এখন ভ্যাকসিনেশনের পর ভোট করানো উচিৎ ওনার। নাহলে ওদের তো অনেক বিধায়ক রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে বেছে নিক’।
ভোট পরবর্তীতে বিজেপিকে আটকাতে রাজ্যে লকডাউন জারী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই দাবি করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি যা বলছে, তাতে করে এই সময় লকডাউনের পক্ষেই রায় দিচ্ছে বিজেপি শিবির। রাজ্যের এক নেতা জানিয়েছেন, ‘একদিকে মুখ্যমন্ত্রী উপনির্বাচনের জন্য তোরজোড় করছেন, আর অন্যদিকে ট্রেন বন্ধ রেখেছেন! তৃণমূল যদি এখন লকডাউন জিইয়ে রেখে বিজেপি-র আন্দোলন থামাতে যায়, তাহলে তো উপনির্বাচন পিছিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পরোক্ষভাবে রাজ্য সরকারই তো বলে দিচ্ছে, এখন উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই রাজ্যে’।