বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একজন ভ্যাকসিন নিয়ে ৫০০ টাকা। দুজন নিলে কিছুটা ছাড় দিয়ে ৮৫০ টাকা। হ্যাঁ, এভাবেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে চলছিল ভ্যাকসিনের কালোবাজারি ব্যবসা। জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে প্রতিবাদ দেখানো শুরু করেন। কোলাঘাটের পাইকবাড়ি ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত সবাই। কেন্দ্র সরকার গোটা দেশে করোনার টিকা যখন বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, তখন আরেকদিকে বাংলায় টিকার জন্য টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
কোলাঘাটের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখানোর পর সেখান থেকে পালিয়ে যান এজেন্টরা। দেবাঞ্জন এবং ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তখন টাকা নিয়ে টিকার কালোবাজারি নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে রাজ্য প্রশাসনকে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, সোমবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে নোটিশ টাঙিয়ে জানানো হয় যে মঙ্গলবার থেকে টিকা দেওয়া হবে। এরপর সোমবার সন্ধ্যা বেলার দিকে কয়েকজন ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বেরোতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। তাঁরা জানতে পারেন যে, টাকা নিয়ে আগেভাগেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে চলছে টিকার কালোবাজারি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের খবর কানে যেতেই সেখানে ছুটে যায় পুলিশ। স্থানীয়রা BMOH-এর বিরুদ্ধে টিকার কালোবাজারি করার অভিযোগ তোলেন। এরপরই তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র আর সেখানকার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এর আগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাঁরা PPE চড়া দামে বাইরে বিক্রি করে দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। আর এবার টিকাও বিক্রি করে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয় যে বাংলায় টিকা নিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা সামনে এল। এর আগে শিলিগুড়ি থেকেও একই অভিযোগ এসেছিল। সেখানে ব্যবসায়ী এবং বণিক মহলকে বাধ্যতামূলক টিকার জন্য ৩১৫ টাকা দিতে হচ্ছিল। সেই নিয়ে সরবও হয়েছিল তাঁরা। আর এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলায় টাকার বদলে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।