বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শনিবার বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয় মূল ষড়যন্ত্রকারী ওলিউল্লাহ খানকে আর এদিন শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত্যুদন্ড দিল আদালত। অপর একটি মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। 2006 সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় দীর্ঘ 16 বছর পর আদালতের এই রায়ে স্বভাবতই খুশি সকলে।
উল্লেখ্য, 2006 সালের 7 ই মার্চ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয় প্রায় 30 জনের এবং আহত হন বহু সংখ্যক মানুষ। বারাণসীর সংকটমোচন মন্দির এবং ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটানোর ফলে এক মুহুর্তে প্রাণ হারান বহু সংখ্যক মানুষ আর এই ঘটনার এক মাসের ভিতরেই প্রয়াগরাজ থেকে মূল অভিযুক্ত ওলিউল্লাহ খানকে গ্রেফতার করা হয়।
এতদিন ধরে গাজিয়াবাদ আদালতে চলছিল মামলাটির শুনানি, যার রায়দান হিসেবে এদিন অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ দিলেন বিচারক। 2006 সালে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় মুল তদন্তের দায়িত্বে ছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তারা জানায়, “বাংলাদেশি সংগঠন হরকত উল জেহাদ আল ইসলামির সদস্য ওলিউল্লাহ দীর্ঘ পরিকল্পনা করে বিস্ফোরণটি ঘটায়। এরপর দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করি আমরা এবং আজ দীর্ঘ 16 বছর পর অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।”
প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজ থেকে 2006 সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয় বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীকে। এরপর আদালতে সেই মামলাটি উঠলে অভিযুক্তের স্বপক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াতে চাননি এবং পরবর্তীতে সেই মামলাটি পাঠানো হয় গাজিয়াবাদ আদালতে। এক্ষেত্রে ওলিউল্লাহের বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র এবং বিস্ফোরণসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর এক দীর্ঘ শুনানি চলার পর এদিন প্রথমে একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পরবর্তীতে ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত।