বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে (Varanasi) নেপালি নাগরিককে (Nepali) জোর করে ন্যাড়া (Head Shave) করিয়ে দেওয়ার মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বারাণসীর এসএসপি অমিত পাঠক অনুযায়ী, ভিডিওতে যেই নেপালি ব্যাক্তিকে দেখানো হচ্ছে, আদতে সে একজন ভারতীয় নাগরিক। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে এই তথ্য সামনে আসে। ওই নির্যাতিত ব্যাক্তি জানায়, তাঁর নাম ধর্মেন্দ্র সিং। সে একটি শাড়ির দোকানে কাজ করে। এসএসপি জানান, লকডাউনের কারণে কোন কাজ না থাকায় তাঁকে এক হাজার টাকা দিয়ে ওই ভিডিও বানানো হয়। তথ্য সামনে আসার পর পুলিশ এবার বিশ্ব হিন্দু সেনার সংস্থাপক তথা মুখ্য অভিযুক্ত অরুণ পাঠকের তল্লাশিতে জুটেছে।
সত্য সামনে আসার পর বিশ্বহিন্দু সেনার সংস্থাপক অরুণ পাঠক সমেত কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় কার্যকরতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পর উত্তর প্রদেশের ডিজিপি হিতেশ চন্দ্র অবস্থি বারাণসীর সিনিয়র অফিসারদেরর তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন। মামলা দায়ের করার পর পুলিশ গ্রেফতারির জন্য তল্লাশি শুরু করে দেয়। এখনো পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা ব্যাক্তিদের নাম হল সন্তোষ পাণ্ডে, রাজু যাদব, অমিত দুবে আর আশিস মিশ্র। প্রধান অভিযুক্ত অরুণ পাঠক এখনো ফেরার।
জানিয়ে দিই, বারাণসীতে থাকা ধর্মেন্দ্র সিংকে বুধবার জোর করে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। তাঁর মাথায় ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগানও লিখে দেওয়া হয়। ভিডিওতে অভিযুক্তরা নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বিরোধী স্লোগানও দেয়। বিশ্ব হিন্দু সেনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও জারি করে কেপি শর্মা ওলিকে হুঁশিয়ারি দেয়। এর সাথে সাথে বারাণসীতে থাকা নেপালি নাগরিকদেরও হুঁশিয়ারি জারি করে ওই সংগঠন। তাঁরা হুঁশিয়ারি জারি করে বলে, কেপি শর্মা ওলি যদি লাগাতার এমন বয়ান দিতে থাকে, তাহলে বারাণসীতে থাকা নেপালিদের এর পরিণাম ভুগতে হবে।
বিশ্ব হিন্দু সেনা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি জারি করেছিল, যেখানে পশুপতি নাথ মন্দির প্রাঙ্গলে একটি পোস্টারকে দেখানো হচ্ছিল। ওই পোস্টারে লেখা ছিল যে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি ভগবান শ্রী রামের নামে যেই বিতর্কিত বয়ান দিয়েছেন, সেটি নিয়ে ক্ষমা না চাইলে ভারতে থাকা নেপালি নাগরিকদের পরিণাম ভুগতে হবে। সকালে এরকম হুঁশিয়ারি বার্তা জারি করার পরেই, বিশ্ব হিন্দু সেনার কার্যকর্তারা আইনের লঙ্ঘন করে এক ব্যাক্তিকে নেপালি সাজিয়ে তাঁর মাথা ন্যাড়া করে দেয়।