খেলেই শান্তি, এক পিসের দাম ৫০০ টাকা! কাটতেও লাগে স্পেশ্যাল ছুরি! চেনেন আমটিকে?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমসত্ত্ব হোক অথবা আমের টক, আমের আচার কিংবা কাঁচামিঠে আম, আমজনতার ‘ফলের রাজা’কে নিয়ে ফ্যান্টাসির বোধহয় শেষ নেই। মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমবাঙালী, সকলেই গরমকাল আসলে আমের প্রেমে মজেন। কমবেশি সব গৃহস্থের বাড়িতেই বাজার থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি আমি আসে। তাই বলে পাঁচশো টাকা দিয়ে এক পিস আম? সেটা কেনাটা বোধহয় বাড়াবাড়ির পর্যায়েই চলে যায়। কিন্তু, কী আর করা যাবে কোহিতুর আম বাড়িতে আনতে গেলেই মোটা অঙ্কের দক্ষিণা দিতেই হবে।

এখন, প্রশ্ন হল এই আমের বিশেষত্ব কী ? জানা গিয়েছে, অবিভক্ত ভারতবর্ষের ব্রহ্মদেশ অর্থাৎ আজকের মায়ানমার থেকে স্বয়ং মুর্শিদ কুলি খাঁর হাত ধরে এই আম বাংলার বুকে পা রেখেছিল। কোনও ছুরি দিয়ে কাটলেই নষ্ট হয়ে যায় সেই আমের স্বাদ ও রং দুই-ই। তাই কাঠের ছুরি দিয়ে কোহিতুর আম কাটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর বিশেষত্ব।

তবে, শুধুমাত্র কোহিতুর আমই নয়, মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় জুড়ে পাকতে থাকে এমন অনেক ধরনের আমের হদিশ মেলে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে। শুধু তা-ই নয়, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানিও করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির আম।

বিভিন্ন ধরনের আহমেদ প্রজাতির মধ্যে সবথেকে কিন্তু বেশি এগিয়ে রয়েছে হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংড়া, আম্রপালি আর লক্ষ্মণভোগ। জুন মাসটাই হিমসাগরের পাকার জন্য উপযুক্ত সময়। জুন মাসের ৭ তারিখ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে হিমসাগর ভালোভাবে পাকতে পারে। অন্যদিকে ল্যাংড়া আমের পাকতে সময় লাগে প্রায় এক মাস জুনের মাঝামাঝি থেকে ল্যাংড়া আম পাকতে শুরু করলেও প্রায় ১৫ই জুলাইয়ে আগে পর্যন্ত ল্যাংড়ার পাকা সম্পূর্ণ হয় না। এর পাশাপাশি, একই সময়ে পাকে লক্ষ্মণভোগ আমও। লক্ষ্মণভোগ আম পাকাতেও এক মাস সময় দিতে হয়। দুর্দান্ত সাধের এই আমটির পাকার জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। অন্যদিকে, রাণী আমটি জুন মাসের গোড়ার দিকেই পাকতে শুরু করে। জুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই এই আম পেকে যায়।

বেশ কয়েকটা জুন-জুলাই মাসে পাকতে শুরু করলেও এমন অনেক আম রয়েছে যে আমগুলো কিন্তু মে মাসেও পাকতে শুরু করে। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যেই পেতে চাই সারেঙ্গা আম সে ক্ষেত্রে সারেঙ্গা আম পাকার জন্য সময় কালটা হল মে মাসের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত। ২৭ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে গোলাপখাস আম পাকতে দেখা গেলেও প্রায় সারাবছরই গোলাপখাস মেলে। ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মুলায়মজাম নামের আমটি পেকে যায়। জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই খুব ভালোভাবেই পেকে যায় পেয়ারাফুলি আমটি। পেয়ারাফুলি আম যখন পাকার শেষ মুহূর্তে, ঠিক সেই সময়ই পাকতে শুরু করে মল্লিকা আম। এই আম পাকে ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে । স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাঙালির পাতে পড়ে যায় সূর্যপুরী আম। ফজলি আমের অবশ্য তাতে বেশ খানিকটা সময় অন্যদের তুলনায়। জুলাই মাসের গোড়া থেকে পাকতে শুরু করলেও ফজলি আম পাকা শেষ হয় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আশ্বিনা আম পাকতে শুরু করে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর