বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফলের রাজা বলা হয় আমকে (Mango)। স্বাদে ও গন্ধে ভরপুর এই আম বছরের পর বছর ধরে আমাদের রসনা তৃপ্তি করে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণ আমের চাষ হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের আমের নাম বিভিন্ন রকম। আমের নামকরণের পিছনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লোককথা ও ইতিহাস। চলুন বিভিন্ন ধরনের আমের নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হিমসাগর : পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি হিমসাগর আমের চাষ হয় বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলাতেও। এই আমের স্বাদ ও গন্ধর খ্যাতি জগৎজোড়া। এই আমের ভিতরের অংশ হলুদ ও কমলা রঙের হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় প্রচুর পরিমাণ চাষ করা হয় বলে সাগরের সাথে মিলিয়ে এই আমের নাম রাখা হয়েছে।
আরোও পড়ুন : ভাইপোর প্রেমে পাগল কাকিমা! কাকু জানতেই ঘটে গেল রক্তারক্তি কাণ্ড, তুলকালাম বর্ধমানে
ফজলি : কথিত আছে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে মালদহ জেলার কালেক্টর রাজভেনশ ফজলি আমের নামকরণ করেন। স্বাধীন সুলতানদের ধ্বংসপ্রাপ্ত গৌড়ের এক কুঠিতে বাস ছিল ফজলি বিবি নামের এক বৃদ্ধার। তিনি যেখানে বাস করতেন সেখানে ছিল আমগাছ। কালেক্টর রাজভেনশ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ফজলি বিবির কুঠিরের কাছে স্থাপন করেছিলেন শিবির। ফজলি বিবি কালেক্টরের আসার খবর পেয়ে তার কাছে আম নিয়ে যান। তখন কালেক্টর সেই ফলের নাম জিজ্ঞাসা করেন। তবে ফজলি বিবি ইংরেজি না বুঝতে পারায় নিজের নাম বলেন। সেই থেকেই এই আমের নাম ফজলি।
আরোও পড়ুন : আরেব্বাস! এক্কেবারে পাটে গেল মেনু! হাওড়া-NJP রুটের বন্দে ভারতে এবার পাবেন লোভনীয় সব খাবার
ল্যাংড়া : জানা যায় এই আমের চাষ শুরু হয় মুঘল আমলে দ্বারভাঙ্গায়। প্রথমদিকে এই আমের নাম নিয়ে কেউ মাথা না ঘামালেও, আঠারো শতকে এক ফকির এই আমের চাষ শুরু করেন। বলা হয় এই ফকিরের পায়ে সমস্যা ছিল। সেই থেকেই এই আমের নাম হয় ল্যাংড়া।
লক্ষ্মণভোগ – গোপালভোগ : কথিত আছে একটি আম গাছ রোপন করেছিলেন ইংরেজবাজারের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ। স্বাদ ও গন্ধে সেই আম ছিল অতুলনীয়। সেই লক্ষণ নামক চাষীর নাম থেকেই এই আমের নাম হয় লক্ষণভোগ। ইংরেজবাজারে নরহাট্টার গোপাল চাষির নাম থেকে গোপালভোগ নামের উৎপত্তি।
গোলাপখাস : এই আম বিখ্যাত এর সুগন্ধের জন্য। গোলাপের মতো গন্ধ থাকায় এই আমের নাম হয় গোলাপখাস।
চৌষা : বাংলায় এই আম খুবই জনপ্রিয়। এই আমের মাথা ফুঁটো করে চুষে খাওয়া যায় বলে এই আমের নামকরণ হয়েছে চৌষা।