বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিকিমে (Sikkim) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেওয়া মানেই পকেট ফাঁকা করে বাড়ি ফেরা। সেখানকার গাড়ি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেন পর্যটকরা (Tourist)। এবার এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পর্যটন মন্ত্রক নড়ে চড়ে বসলো। লাগাম ছাড়া গাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সিকিমের পর্যটন দপ্তরকে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর উন্নয়নের ওপর নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
গত ১৩ মে সিকিম সরকারকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সেন্ট্রাল পাবলিক গ্রিভ্যান্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টমের পক্ষ থেকে। সেই চিঠিতে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকদের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সিকিম ভ্রমণে গিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক। অভিযোগ, পারমিট এবং ট্যুরিস্ট স্পটে ভ্রমণ করানোর জন্য পর্যটকদের থেকে বিপুল টাকা দাবি করছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলি।
আরোও পড়ুন : প্রসেনজিতের পরিবারে সুসংবাদ! ছেলে মিশুক নিয়ে এল বড় খবর, গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছ বুম্বাদার
এই বিষয়গুলি যাতে দ্রুত খতিয়ে দেখা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিকিম পর্যটন মন্ত্রককে। গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৫ই মে পর্যন্ত সপরিবারে দার্জিলিং এবং সিকিম ভ্রমণে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রকের প্রাক্তন অতিরিক্ত কমিশনার কে পি ওয়াসনিক। সেখানকার গাড়ি ভাড়া রীতিমতো আকাশ ছোঁয়া। পর্যটকদের থেকে টাকা পয়সা রীতিমতো লুট করে নেওয়ার মতো ভাড়া। তাই গাড়ি ভাড়ার সুনির্দিষ্ট রেট চার্ট তৈরি করা প্রয়োজন সিকিম সরকারের।
সিকিমের ঘোড়ার বাজেট এতটাই বেশি যে বর্তমানে সিকিম যাওয়ার প্ল্যান না করে অন্য পর্যটন কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন পর্যটক। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সকালেও চিন্তার ভাঁজ। সিকিমে গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে হোটেল খরচ, খাবার খরচ, এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে যাওয়ার আগে পাঁচবার ভেবে দেখতে হচ্ছে। গাড়ি ভাড়ার খরচ শুনে অনেক সময় ট্যুর বাতিল করে দিচ্ছেন পর্যটকরা।