বাংলা হান্ট ডেস্ক : চলতি বছরটায় ভারতীয় ফিল্মি দুনিয়াকে যেন রাহু গ্রাস করেছে। একটার একটা নক্ষত্র পতনের খবরে শোকাহত ভক্তরাও। কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় বলিউড (Bollywood) গায়ক রাজু পাঞ্জাবি। সেই শোক কাটতে না কাটতেই আবারও এক তারকার মৃত্যু সংবাদ আমাদের সামনে।
মারাঠি বিনোদন জগতের খ্যাতনামা নাম সীমা দেও বৃহস্পতিবার পাড়ি জমালেন আনন্দলোকে। ২৪ অগাস্ট প্রয়াত হয়েছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল প্রায় ৮১ বছর। জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকবছর ধরেই আলঝাইমার রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন এই অভিনেত্রী। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হল সীমার স্বামী অভিনেতা রমেশ দেও। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। জানা যায়, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার কারণেই তার প্রাণ যায়। আর তার পরের বছরেই স্বামীকে অনুসরণ করলেন সীমাও। দুজনের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে, ১৯৬২ সালে ‘ভারদক্ষিণা’র সেটে আলাপ হয়েছিল দুজনের।
আরও পড়ুন : নতুন সিরিয়াল আসতেই TRP ডাউন! আচমকাই বন্ধের মুখে স্টার জলসার এই জনপ্রিয় সিরিয়াল
সীমা দেও-র কাজের প্রসঙ্গে বললে, মারাঠির পাশাপাশি বহু হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আনন্দ’ ছবিতে দেখা মিসেছিল তাঁর। মিসেস সুমন কুলকার্নির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন সীমা দেও। এছাড়াও রাজেশ খান্নার সঙ্গে অভিনয় করেন ‘আনন্দ’, ‘কোরা কাগজ’র মত সুপারহিট ছবিতে।
এসব ছাড়াও তাঁকে দেখা গেছে ‘কোশিশ’, ‘সরস্বতীচন্দ্র’ সিনেমাতেও। এদিকে স্বামী রমেশ দেওর সঙ্গে ‘ইয়ান্দা দত্তু হ্যায়’, ‘মাঝি আই’, ‘সুবাসিনী’, ‘সোনিয়াচি পাভলে’, ‘মোলকারিন’-এর মতো একাধিক ছবিতে জুটি বাঁধেন। তবে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন ‘অপরাধ’, ‘ইয়া সুখন্নো ইয়া’ ছবির সৌজন্যে। ১৯৬৩ সালের ‘পাহু রে কি কথা’ ছবির জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার তুলে দেয় সীমার হাতে।