বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) রাষ্ট্রীয় সংযুক্ত মহাসচিব রাঘুবুলু বলেন, নাগরিকতা সংশোধন আইন হিন্দুত্বকে বাঁচানোর জন্য আনা হয়েছে। উনি রবিবার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার শরণার্থীদের নাগরিকতা দেওয়ার জন্য সিএএ এনেছে। সিএএ হিন্দুত্বের রক্ষা করার জন্য আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোন সরকারই নাগরিকতা আইনে সংশোধন করেছিলন না। এর ভুল কি আছে?”
VHP এর তেলেঙ্গানার সভাপতি রামারাজু ব্লেন, সিএএর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র মুসলিমরাই বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। নাগরিকতা সংশোধন আইন ২০১৯ পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসি আর খ্রিস্টানদের নাগরিকতা দেবে। যারা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ এর আগে ভারতে এসে ঠাই নিয়েছে, ভারত সরকার তাঁদের নাগরিকতা দেওয়ার জন্য প্রতিবদ্ধ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্ণাটকের তুমকুর শহর থেকে কংগ্রেস সমেত সমস্ত বিরোধী দল গুলোর উপর চরম আক্রমণ করেন। উনি কংগ্রেসের উপর অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের বিরোধিতা করছে তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাগরিকতা আইনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ধার্মিক সংখ্যালঘুদের নাগরিকতা দেওয়ার কাজ করছি আমরা, আর কংগ্রেস সেটার বিরুদ্ধে র্যালি করছে। উনি বলেন, ২০১৪ এর পর থেকে দেশের আম জনতার জীবনে সার্থক পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সরকার অভূতপূর্ব কাজ শুরু করেছে।
সিএএ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘পাকিস্তানের নির্মাণ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল। সেখানকার ধার্মিক সংখ্যালঘুদের প্রতারিত করা হয়। প্রতারিত মানুষ শরণ নেওয়ার জন্য ভারতে আসেন। কিন্তু কংগ্রেস আর তাঁদের সহযোগী দল গুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেনা, উলটে তাঁরা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে র্যালি করে।”