জওয়ানদের উপর আক্রমণ হলে আত্মরক্ষার জন্য তাঁরা গুলি চালাবেই! স্পষ্ট জবাব বিবেক দুবের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিনে কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন চার জন গ্রামবাসী। কোচবিহারের SP দেবাশিস ধর বলেছিলেন যে, ৩০০ থেকে ৩৫০ জন গ্রামবাসী লোকাল অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের হাতিয়ার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন যে, ব্যালট ইউনিট লুঠ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায়।

sitalkuchi 1

এই ঘটনার পর রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাণ্ডের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ি করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, অমিত শাহের নির্দেশেই এই কাণ্ড ঘটেছে। আরেকদিকে, বিজেপি এবং রাজ্যের অন্য বিরোধী দলগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যকেই এই ঘটনার জন্য দায়ি করেছে।

Mamata banerjee will hold a meeting in Barasat-Bidhannagar

আর এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, জওয়ানদের উপর আক্রমণ হলে গুলি চলবেই। উল্লেখ্য, প্রথম দফার নির্বাচনের ঠিক আগের রাতে মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির উপর আক্রমণ হয়। সেই ঘটনার পরই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নির্দেশ জারি করে বলা হয় যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর কোনোরকম আক্রমণ হলে তাঁরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে স্বাধীন থাকবে।

Election Co mmission

বিবেক দুবের এই মন্তব্যের পর এটুকু স্পষ্ট যে, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো নিয়ে রাজনৈতিক তুলকালাম হলেও, কমিশন তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকছে। তবে শীতলকুচির ঘটনায় CISF এর পক্ষ থেকে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। কি কারণে গুলি চালানো হল আর ঠিক কি পরস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হবে। আরেকদিকে, বাহিনী গুলিতে নিহত চার গ্রামবাসীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিবেক দুবে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর