বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাসির খোরাক পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। চিনে (China) অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে শাহবাজ শরিফ এমন এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন, যা এখন আন্তর্জাতিক মহলে হাস্যরসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকের সময় নিজের কানে অনুবাদ শোনার জন্য ইয়ারফোন পরতে গিয়ে তিনি এতটাই হিমশিম খান যে পুতিন নিজে তাঁকে ইয়ারফোন ব্যবহারের পদ্ধতি দেখিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেন।
ফের ভাইরাল শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একাধিকবার চেষ্টা করেও শরিফের (Shehbaz Sharif) কানে ইয়ারফোন বসছে না, বারবার ফসকে যাচ্ছে। পুতিন তখন নিজের ইয়ারফোন তুলে শরিফকে দেখিয়ে দেন কীভাবে সঠিকভাবে সেটি পরতে হয়। এই দৃশ্য দেখে রুশ প্রেসিডেন্টও একসময় নিজের হাসি চেপে রাখতে পারেননি। উপস্থিত অন্যান্যের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে চাপা হাসির পরিবেশ তৈরি হয়। ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। অনেকেই শেহবাজ শরিফের এমন অবস্থাকে পাকিস্তানের ‘রাজনৈতিক লজ্জা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।
আরও পড়ুন:- পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে, একই প্রেমিকের সঙ্গে উধাও দুই জা, ধরা পড়তেই যা হল… শোরগোল এলাকায়
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ঠিক একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত SCO সম্মেলনেও শেহবাজ শরিফ ইয়ারফোন পরতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। সেবারও তাঁর সামনেই বসেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। একই পরিস্থিতি আবারও সামনে আসায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে কীভাবে একাধিকবার এমন ছোটোখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে শরিফ (Shehbaz Sharif) অসহায় হয়ে পড়ছেন।
চলতি SCO সম্মেলনে আরেকটি মুহূর্ত বিশেষভাবে নজরে এসেছে, যেখানে ,শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পুতিনের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে গিয়ে কিছুটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। ভিডিওতে দেখা গেছে, শরিফ দ্রুত পুতিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন করমর্দনের জন্য, কিন্তু তখন পুতিন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাচ্ছিলেন। শরিফের সেই আচরণকে অনেকেই ‘উৎসাহী কিন্তু উপযুক্ত মুহূর্ত বিবর্জিত’ বলে সমালোচনা করছেন।
এসব ঘটনার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেহবাজ শরিফকে (Shehbaz Sharif) নিয়ে কটাক্ষের ঝড় উঠেছে। কেউ বলছেন, “পাকিস্তান এখন শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, ব্যবহারিক দক্ষতার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছে।” আবার কেউ লিখেছেন, “যেখানে গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে, সেখানে এত সহজ একটা বিষয়ের জন্য বারবার অপদস্থ হওয়া রাষ্ট্রনেতার পক্ষে একেবারেই শোভন নয়।”
আরও পড়ুন:- মোদী-পুতিনের “দোস্তানা”, পাকিস্তানের চিন্তা বাড়িয়ে ভারতকে আরও S-400 দিতে ইচ্ছুক রাশিয়া
এই মুহূর্তে পাকিস্তান এমনিতেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। তার উপর প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের ঘটনাবলী আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি আরও ক্ষুণ্ণ করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে প্রযুক্তিগত এবং আচরণগত দক্ষতার অভাব যে কীভাবে একটি দেশের মর্যাদায় প্রভাব ফেলে, শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তারই প্রমাণ।