বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বড়বানি জেলায় এক শিখ ব্যাক্তিকে (Sikh) মারধর করার ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে পুলিশকর্মীরা এক শিখ ব্যাক্তিকে রাস্তায় মারধর করছে। ভিডিওতে নিগৃহীত ব্যাক্তির নাম প্রেম সিং বলে জানা গিয়েছে। আর তিনি এক পুলিশ কর্মীর পা ধরে বসে আছে। ওই পুলিশ কর্মী শিখ ব্যাক্তির চুল ধরে রেখেছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দুজন পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর। ভিডিওতে প্রেম সিং নামের ব্যাক্তি বলছেন, আমার উপর অত্যাচার করছে পুলিশ। পুলিশ কর্মিরা আমাকে স্টল লাগাতে দিচ্ছে না। নিগৃহীত ব্যাক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষের কাছে সাহায্যের আর্তিও জানান।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের বড়বানি জেলার রাজপুর তহসিলের। সেখানে একটি চায়ের দোকান নিয়ে পুলিশ আর প্রেম সিংয়ের পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পুলিশ জানায়, প্রেম সিং মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আরেকদিকে প্রেম সিং অভিযোগ করে বলেন, পুলিশকে ঘুষ না দেওয়ায় তাঁরা আমাকে মারধর করে। এই ঘটনার পর মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুই পুলিশ কর্মীর মধ্যে একজন ASI আর একজন হেড কনস্টেবল আছে।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এই ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে লেখেন, ‘মধ্যপ্রদেশের বড়বানি জেলার পলসুদে প্রেম সিং থানার পাশে একটি ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে নিজের জীবন যাপন করেন। আর তাঁকেই পুলিশ অমানবিক ভাবে মারধর করে। শিখ ব্যাক্তির পাগড়ি খুলে তাঁর চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় আর মারধর করে।” উনি আরও লেখেন, এই অত্যাচার আর গুন্ডাগিরি শিখ ধর্মের পবিত্র ধার্মিক সংস্কৃতির অপমান। এরকম ঘটনা সহ্য করা যাবে না। আমি সরকারের কাছে দোষী ব্যাক্তির সাজার আবেদন করছি।
मध्य प्रदेश के बड़वानी के पलसूद में प्रेम सिंह ग्रंथी जो की वर्षों से पुलिस चौकी के पास एक छोटी सी दुकान लगाकर अपना जीवन यापन करते आ रहे है।
उनको वहाँ की पुलिस ने अमानवीय तरीक़े से पिटा , उनकी पगड़ी उतार दी , बाल पकड़ कर बुरी तरह से सड़क पर उनकी पिटाई की।
1/2 pic.twitter.com/qxHF5BrHYo— Kamal Nath (@OfficeOfKNath) August 7, 2020
কংগ্রেসের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জিতু পটওয়ারি বলেন, ‘আজ রাজ্যে আইন ব্যবস্থার অরাজকতা চলছে। গুরু গ্রন্থ সাহিবে পাগড়ির অনেক মান আর সন্মান আছে। ধর্মের নামে রাজনীতি করা মানুষ গুলোর কারণে এরকম অধার্মিক কাজ চলছে। সরকার দিশাহিন, অত্যাচারি আর মানুষকে ধোঁয়াশার মধ্যে রাখছে।”