মুখ দিয়ে বেরোয় না কোন শব্দ, কথাবার্তাও চলে ইশারাতেই! দেখুন, কোথায় আছে এই আজব গ্রাম

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রামে গেলে আপনি ছুঁতে পারবেন প্রকৃতিকে। প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করেন এই গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দারা অধিকাংশই দরিদ্র। তবে একটি বিশেষ কারণের জন্য এই গ্রামের নাম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখন জানেন। আপনারা জানলে অবাক হবেন এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই শুনতে পান না কানে।

জানা গিয়েছে, তারা বধির। বিশেষ সাংকেতিক ভাষায় এনারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকেন। এই গ্রামের মানুষেরা পরস্পরের সাথে যেভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকেন তাকে বলা হয় ‘কাতা কোলক।’ এই গ্রামের সব বাসিন্দাই কিন্তু বধির নয়। তবে গ্রামের সিংহভাগ মানুষই মূক ও বধির হওয়ায় তারা ‘কাতা কোলক’ এর মাধ্যমেই তারা মনের ভাব প্রকাশ করে থাকেন।

অদ্ভুত এই গ্রামের নাম বেংকালা। এই গ্রামটি অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের উত্তর প্রান্তে। বিশ্বের মানুষের কাছে এই গ্রামটি ‘The Village Of Deaf’ নামেই বেশি পরিচিত। পশুপালন ও চাষ করেই এখানকার গ্রামের মানুষেরা জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এই গ্রামে বহু বিদেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন। পর্যটন থেকেও আয় হয় এই গ্রামের বাসিন্দাদের।

এই গ্রামের মানুষেরা পর্যটকদের সাথেও কথা বলেন ইশারা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে। ধীরে ধীরে ‘কাতা কোলক’ এই গ্রামের বাসিন্দাদের সংস্কৃতির একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভাষাও শিখতে শুরু করেছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। এই গ্রামে যারা ঘুরতে আসেন তাদের জন্য আরও একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল ‘জাঞ্জের কোলক’ বা বধিরদের নৃত্য।

bengkala4

তবে, এই ঘটনাটিকে আপনার অবিশ্বাস্য মনে হলেও একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও এমন গ্রাম আছে পৃথিবীর বুকে‌। বিজ্ঞানীদের কথায়, বিরল এক জিন ঘটিত রোগের শিকার এই গ্রামের বাসিন্দারা। DFNB3 নামে এই জিনগত ত্রুটিকে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন। এই ত্রুটির জন্যই এই গ্রামের বাসিন্দারা অধিকাংশই মূক ও বধির হয়ে যান।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর