বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল হঠাৎই কিছু মানুষের পেটে লাথি মারলো প্রশাসন। বিকাল ৩টে ৪টের সময় ভিআইপি রোড সংলগ্ন একাধিক দোকানে ভাঙচুর করা হয়।
দোকানদার দের দাবি, যদি বেআইনিভাবে ভাঙ্গা হয় তাহলে সব দোকানই কেন ভাঙ্গা হচ্ছে না? সূত্রের খবর এখানে শাসক দলের দুই গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে ময়দানে নেমে পড়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের নির্দেশে কিছু দোকান ভাঙ্গা হয় এদিকে যুব নেতা ছাত্র যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীও তা ভালো ভাবে নেয়নি বলে জানাগেছে।
এদিকে শ্যাম দে ধাবার মালিক শমীর চৌধুরী বলেন, ‘এই ভাবে ভাঁঙা ঠিক হয়নি। আগে থেকে যদি আমাদের কোন নোটিশ দিতো তা হলে আমরা সরিয়ে নিতাম। হঠাৎ করে কেন এমন কাজ করা হলো তা বুঝতে পারছি না। আমরা সব সময় শাষক দলের সাথে সহযোগিতা করে কাজ করছি তা হলে বর্তমান প্রশাষন এমন কেন কাজ করলো তা বুঝতে পারছি না।’
গোটা ভিআইপি রোর্ড জুঁড়ে সিন্ডিকেট বালি,পাথর পড়ে আছে তবু প্রশাষন কেন নজরে আসছে না? প্রশ্ন তুলছে এলাকার মানুষ। কারন গোটা ভিআইপি রোর্ড জুঁড়ে কয়েক হাজার মানুষ বিনা অনুমতিতে ব্যবসা করে খাচ্ছে। তাদের এই করোনার আবহাওয়ের যখন মানুষের হাতে কাজ নেই সেই সময় কয়েক হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়লেন ভিআইপি রোড সংলগ্ন কিছু মানুষ৷
যখন একের পর বেআইনি দোকান ভাঁঙা হলো তখন কালো গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তৃনমূলের রাজ্য সভার সাংসদ দোলা সেন, কিন্তু তাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায়নি। এদিকে এই ঘটনার রং লেগেছে রাজনিতিতে। দোলা সেন গোষ্টি বনাম যুব তৃনমূল গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
কারন তৃনমূল এক অংশের নেতারা মনে করছেন, কষ্ট করে যারা ব্যবসা করতো তাদের এমন ভাবে ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে তাতে আগামী বিধানসভাতে তার প্রভাব পড়বে। কারন বিগত লোকসভা নির্বাচনে যে ভাবে রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভাতে তৃনমূল থেকে বিজেপির উথ্যান হয়েছে আগামী ২মাসের মধ্যে তার প্রভাব পড়বে৷
এদিকে আজ ই পথে নামছে অটো,টোটো ইউনিয়ন ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের দাবী, প্রশাষন যে ভাবে এই অত্যাচার চালালো তা গ্রহন যগ্য নয়৷।দিনের পর দিন বেআইনি পার্কিং,দোকান থেকে বিপুল অংশের টাকা তোলা হয় বলে শাষকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে বিজেপি। তাদের দাবী পুলিশ প্রশাষন কে বুঁড়ো আঙুল দেখিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে, তখন প্রশাসন কে সক্রিয় হতে দেখা যায় না কেন? প্রশ্ন তুলছে সাধারন মানুষ৷