বাংলা হান্ট ডেস্ক : করোনাকালে মানুষ যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) আনন্দ খুঁজত তখনই আবির্ভাব হয়েছিল ‘চিমস’র (Cheems) ওরফে বলটজের (Balltze) ।কখনও চোখের ইশারায়, আবার কখনও নিষ্পাপ হাসির মুখে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে ওস্তাদ ছিল সে। আর এবার সেই খ্যাতনামা সারমেয়’ই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে। মারণ রোগের অস্ত্রোপচারের সময় গত শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে চিমসের।
করোনাকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে ওঠে চিমস। গোলগাল চেহারার সারমেয়টির গোল মুখ, সঙ্গে অদ্ভুত হাসি মন জয় করেছিল অনেকেরই। শিবা ইনু জাতের কুকুর ছিল এটি। কুকুরটির আসল ছবি থেকে অ্যানিমেটেড ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে হঠাৎ করেই ক্যান্সার ধরা পড়ে তার শরীরে। জানা যাচ্ছে গত ৬ মাস ধরে ক্যান্সারে ভুগছিল চিমস।
জানা যাচ্ছে, চিমসকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করেছিলেন তার মালিক। শেষমেষ ডক্টরদের পরামর্শে তার সার্জারি করারও সিদ্ধান্ত নেন কুকুরটির মালিক। তবে কোনোভাবেই আর তাকে বাঁচানো যায়নি। সার্জারি করতে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই চারপেয়ের। প্রিয় পোষ্যর মৃত্যুসংবাদ জানিয়েছে তার মালিক। মেম কুকুরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেটপাড়ায়।
আরও পড়ুন : ঘরে ঘরে জি বাংলা থেকে হঠাৎ উধাও, এখন কোথায় ইন্দ্রানী? মুখ খুললেন ‘শ্রীময়ী’
এইদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে তার মালিক লিখেছেন, ‘চিমসের মৃত্যুতে আপনারা কেউ মন খারাপ করবেন না। বরং মনে করুন, সে আমাদের প্রত্যেককে কতটা আনন্দ দিয়েছে। কীভাবে সে করোনাকালে মানুশের মন ভালো রাখতে সাহায্য করেছে— সেটি ভেবেই মন ভালো রাখুন। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, এখন বলটজ আকাশে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানেও নিশ্চয়ই ভালো ভালো খাবার খাচ্ছে।’
View this post on Instagram
উল্লেখ্য, গত ৬ মাস ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিল বলটজ। প্রথম দিকটায় তার কেমোথেরাপি এবং অন্যান্য চিকিৎসার কথা ভাবা হলেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত এই অস্ত্রোপারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তাতেই শেষ রক্ষা হল না। তবে চিমসের চিকিৎসার জন্য যে টাকা তোলা হয়েছিল তার অনেকটাই এখনও রয়ে গেছে বলে খবর। সেই টাকা এখনও মালিকের কাছেই রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সেই টাকা স্থানীয় পশুচিকিৎসাকেন্দ্রে দান করবেন।