‘আমাকে আর দেখতে পাবিনা’, বন্ধ হচ্ছে স্মার্ট দিদির হোটেল? হাহুতাশ নন্দিনীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ডালহৌসির অফিস পাড়ার ভাইরাল দিদি নন্দিনীকে কে না চেনে না। ফুটপাথের উপর তার ভাতের হোটেল আজ সর্বজনবিদিত। তাকে নিয়ে ইউটিউবারদের মাতামাতি কারও কারও কাছে ‘অসহ্য’ ঠেকছে বহুদিন ধরেই। যদিও এসব কোনোকিছুকেই বিশেষ তোয়াক্কা করে চলেন না তিনি। আর এবার সেই নন্দিনীর চোখেই জল। একরাশ কষ্ট নিয়ে এক ইউটিউবারকে জানালেন, তার হোটেলের মেয়াদ আর খুব বেশি নয়।

সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেল, এক ইন্টারভিউতে কোন এক ইউটিউবারকে নন্দিনী বলছেন, ‘দু দিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে না-ও দেখতে পারিস।’ তবে কি তিনি অন্য কোথাও দোকান খুলছেন? নাকি ফুটপাথ থেকে তার দোকান তুলে দেওয়ার কোনও ষড়যন্ত্র চলছে? প্রশ্ন উঠেছে শুভানুধ্যায়ীদের মনে।

যদিও বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কিছু তিনি বলেননি। শুধু জানিয়েছেন, ‘বলব, বলব… তোদের সবাইকে জানাব। আছে এরকম কিছু জিনিস। তোদের সব ইউটিউবারকেই ফোন করব। বসব। তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে। নন্দিনী থেকে নন্দিনী দিদি হয়েছি। পাঁচজন থেকে পঞ্চাশজন, একশোজন-দেড়শো জন, যাই পেয়েছি তোদের জন্যই পেয়েছি। তোদের জন্যই আজকে আমি।’

আরও পড়ুন : বিয়ের মাত্র ৪ মাসের মাথাতেই অন্তঃসত্বা! বেবি বাম্প নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন মিষ্টি সিং

এইদিন নন্দিনী আরও বলেন, ‘যখনই দেখি না কেউ বাড়ছে, আমরা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করি। তবে কথাতেই তো আছে রাখে হরি মারে কে। কপালে যা আছে তা তো হবেই।’ ভাইরাল এই ভিডিওটি দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, তবে কি মানুষের কুনজর পড়ল নন্দিনীর এই ছোট্ট দোকানটির উপর। যদিও এর সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : ‘শেষকৃত্যের কাঠ জমা করে রেখেছি, এটাই আমার পুঁজি…’, জীবন নিয়ে আবেগঘন বার্তা নানা পাটেকর

nandini ganguly smart didi didi no. 1

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী কিন্তু আজকের প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। পরিস্থিতি যতই প্রতিকুল হোক না কেন, সেখান থেকে কীভাবে ফিরে আসতে হয় সেই পথ দেখিয়েছেন তিনি। তার জীবনের গল্প শুনিয়েছেন ‘দিদি নম্বর ১’র মঞ্চেও। অনেকেই হয়ত জানেন যে, ডালহৌসির এই ছোট্ট দোকানটি মূলত তার নিজের নয়। তবে বাড়ির কথা ভেবে এই দোকানটির পেছনে অগাধ পরিশ্রম করেছেন তিনি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর