বাংলা হান্ট ডেস্ক: ঘরে রয়েছে প্রথম পক্ষের স্ত্রী। তারপরও আবার বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন ৪০ বছরের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। সূত্রের খবর, সেখানে বছর ১৩-১৪ বছর বয়সী মেয়েকে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি সামনে আসতে সমাজ মাধ্যম ও অভিভাবকেরা ব্যাপক চিন্তার ঝড় তোলে (Viral)। জানা যায় ওই মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। পাশাপাশি এই ঘটনাটি স্কুলের এক শিক্ষক পুলিশের কাছে জানিয়েছে।
তেলেঙ্গানায় সন্তানের বয়সী মেয়েকে বিয়ে করছেন ৪০ বছরের ব্যক্তি (Viral)
স্লোগান যতই উঠুক ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, বাস্তবের ক্ষেত্রে সেই ছবি একেবারেই অন্য। আবারো উঠে এলো বাল্যবিবাহের ঘটনা। এবার ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায় (Telengana)। জানা যায়, ১৩-১৪ বছরের একটি নাবালিকাকে বিয়ে করেছেন ৪০ বছরের এক ব্যক্তি।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই সমাজকর্মী এবং অভিভাবকেরা ব্যাপক নিন্দার ঝড় তোলে। সূত্রের খবর, গত ২৮ মে, ৪০ বছর বয়সি শ্রীনিবাস গৌড় নামের এক ব্যক্তি জোর করে ১৩ বছরের ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন। ছাত্রীটি ওখানকার একটি স্থানীয় এক স্কুলে পড়ে। ওই ছাত্রী তার শিক্ষিকাকে বিয়ের কথা জানিয়ে বলে এই বিয়েতে তার মত ছিল না।
আরও পড়ুন: একঘেয়ে চিলি চিকেন বা দো-পেয়াজা খেয়ে অরুচি মুখে? বাড়িতে অল্প সময়ে বানিয়ে ফেলুন এই রেসিপিটি
ওই ছাত্রীর শিক্ষক ঘটনাটি জানার পর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, মেয়েটি তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাড়াবাড়িতে থাকতেন। মেয়েটির মা প্রথমে বাড়ির মালিককে মেয়ের বিয়ের বিষয়ে জানান। তারপরে এক চল্লিশ বছর বয়সী পুরুষের প্রস্তাব নিয়ে আসেন বাড়ির মালিক। এবং যে মাসে ওই ব্যক্তির সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়।
পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী’র সামনেই বিয়ের সব নিয়ম কানুন গুলো করা হয়। বিয়ের পর তারা দুমাস ধরে একসঙ্গে ছিল। তবে এখনো প্রমান হয়নি মেয়েটির সঙ্গে জোর করে সঙ্গম করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিনা। যদি এটি প্রমান হয় তাহলে ওই ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তির বিরুদ্ধে POCSO আইনের মামলা রুজু করা হবে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পর জেলায় শিশু সুরক্ষার কর্মকর্তা জানান এই বছর এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪৪ টি বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে এসেছে। আর গত বছরে এর সংখ্যা ছিল ৬০ টি। এছাড়াও জেলা শিশু সুরক্ষার কর্মকর্তা আরও জানান, এই বাল্যবিবাহ আইন অপরাধমূলক বলে চিহ্নিত করা হয়। যারা এই ধরনের কাজ করছে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।