ফুটন্ত দুধ পরিণত হল চুইংগামে! ভাইরাল ভিডিও দেখে আঁতকে উঠছে নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এই প্রতিবেদন শুরু করতে গিয়ে প্রথমেই বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের “খিচুড়ি” কবিতা থেকে দু’টি লাইন ধার নিতেই হবে। ওই কবিতাটির শুরুতেই কবি লিখেছিলেন, “হাঁস ছিল সজারু (ব্যাকরণ মানিনা), হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানিনা।” বহুদিন আগে লেখা এই কবিতাটির সাথেই যেন হুবুহু মিলে যাচ্ছে বর্তমানে সামনে আসা একটি ঘটনা।

সম্প্রতি নেটমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একটি পাত্রে দুধ ফুটে তা রীতিমতো পরিণত হয়েছে চুইং গামে। আর এই ভিডিও দেখেই কার্যত অবাক হয়ে পড়েছেন সবাই। দুধ থেকে এক্কেবারে চুইং গামে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনায় চক্ষু চড়কগাছ সকলের।

এমনিতেই বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া এমনই একটি মাধ্যম যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও ভাইরাল হয়। আর যেগুলি গোগ্রাসে গিলতে থাকেন নেটিজেনরাও। কিন্তু, কখনও কখনও কিছু ভিডিও দেখে রীতিমতো ভাষা হারিয়ে ফেলেন সকলে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

জানা গিয়েছে যে, ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের। সেখানকার অশোকা গার্ডেন এলাকার এক মহিলা এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, দুধটি দীর্ঘক্ষণ ফোটার পর তা সরের মত জমে যায়। কিন্তু, যখনই ওই মহিলা সেটিকে তুলতে যান তখনই পুরো বিষয়টি সামনে আসে।

মহিলাটি পাত্র থেকে জমে থাকা দুধ বের করতে গেলেই তা রাবারের মতো প্রসারিত হয়ে চুইং গামের মতো দেখতে লাগে। এমনকি, সেটি সম্পূর্ণভাবে চুইং গামের মতই উঠে আসে হাতে।

পাশাপাশি, আরও জানা গিয়েছে ওই মহিলা এলাকারই একটি ডেয়ারি সংস্থা থেকে এই দুধ কিনেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই দুধ ব্যবহার করলেও অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে প্রথমবার। যদিও, এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে জেলা প্রশাসনের দল। খাদ্য দফতরের দল ইতিমধ্যেই এই দুধের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এমনকি, কীভাবে এই দুধ তৈরি হয়েছে তা জানার চেষ্টাও করছে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা।

এদিকে, এই ভিডিও ভাইরাল হতে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় নেটমাধ্যমে। খাওয়ার দুধও যে চুইং গামে পরিবর্তিত হতে পারে তা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। পাশাপাশি, ভিডিওটি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এছাড়াও, বর্তমান যুগে যে সবকিছুতেই ভেজালের পরিমান বিপুল হারে বেড়ে গিয়েছে সেই সম্পর্কেও আলোকপাত করেন তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর