কাবুল এয়ারপোর্টে বিমানে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি, রোমহর্ষক ভিডিও মনে করাচ্ছে ১৯৪৭-এর কথা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা আফগানিস্তানে তালিবানের কবজা হওয়ার পর দেশের অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল এয়ারপোর্টে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়েছেন। এই ঘটনার রোমহর্ষক ভিডিও ভারত-পাকিস্তান ভাগের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আমেরিকান সেনা হাওয়ায় ফায়ারিং করছে। এই দুর্বিষহ ঘটনার মধ্যে স্থানীয় এক আধিকারিক ভয়াবহ স্থিতি নিয়ে অবগত করান। তিনি জানান, রবিবার রাতে দেশের বড়বড় আধিকারিক বিমানে করে পালিয়েছে। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, বিমানবন্দরে ভিসা, পাসপোর্ট চেক করার মতো অফিসার নেই।

https://twitter.com/NicolaCareem/status/1427122975971561475

অন্যদিকে তালিবানরা ফতোয়া জারি করে ১৭ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত সবাইকে বাড়ির ভিতরেই থাকতে বলেছে। কাবুল এয়ারপোর্টে কমার্শিয়াল বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে এখন শুধু সৈন্য বিমানই উড়তে পারবে। এরমধ্যে অনেকেই দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য মোটা টাকা খরচ করছে। অনেকেই ভিসা বানানোর জন্য দূতাবাসের চক্কর কাটছে। আর এতকিছুর মধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশগুলিকেও চিন্তিত দেখা যাচ্ছে। তারা আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য স্পেশ্যাল ফ্লাইট চালাচ্ছে। ভারতও স্পেশ্যাল ফ্লাইটের মাধ্যমে রবিবার কাবুল থেকে সমস্ত নাগরিকদের উদ্ধার করে দেশে ফেরায়।

ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স একটি বয়ান জারি করে বলেছে যে, আফগানিস্তানের আশেপাশে খুব শীঘ্রই বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে আর পরস্থিতির পর্যবেক্ষণের জন্য এফএএ ও আইএটিএ এক হয়ে কাজ করা জারি রাখবে। অন্যদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, এয়ারলাইন্স পরস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে, আর পরিস্থিতি অনুযায়ী কাবুলের জন্য ভারতের নির্ধারিত বিমান সঞ্চালনের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, রবিবার তালিবান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবনেও কবজা জমায়। তালিবানিরা রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বয়ান জারি করে বলে, আমরা ভাবিনি এত সহজেই আর এত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা পেয়ে যাব। তালিবান জানিয়েছে যে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

 

X