মুসলিম ভেবে বেধড়ক মারধর বৃদ্ধকে, ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিচয় প্রকাশ্যে আসতেই তুলকালাম

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও ধর্ম নিয়ে সংকীর্ণ মানসিকতার ঘটনা সামনে এসেছে। মুসলিম ভেবে পিটিয়ে মারা হয়েছে এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে। ঘটনার পরেই জানা যায় ওই বৃদ্ধ আসলে মুসলিম নয় তিনি জৈন ধর্মের মানুষ। তবে সে যে ধর্মের হন না কেন মুসলিম ভাবে এইভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনায় দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মানসা এলাকার নিমাচে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বছর ৬৫-র এক বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করছে এক ব্যক্তি। ওই প্রবীণের কাছে প্রথমে আধার কার্ড দেখতে চায় হামলাকারী। এ-ও জিজ্ঞাসা করে, ‘‘তোর নাম কি মহম্মদ, জাবড়া থেকে এসেছিস?’’ এর পরই ওই বৃদ্ধের গালে একের পর এক চড় মারতে দেখা যায় হামলাকারীকে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আচমকা হামলায় হতভম্ব হয়ে যান ওই প্রৌঢ়। তিনি হামলাকারীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। হামলাকারীর বেদম প্রহারে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। পুলিশ ওই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, ওই হামলাকারীকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে জানা যায়, নিহতের নাম ভবরলাল জৈন। নিহতের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁর ভাই রাকেশ জৈন।

পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করার পর পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। আরও জানা গিয়েছে মুসলিম ধর্মের সন্দেহে প্রহারে জন্য যাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সেই দীনেশ নামের ব্যক্তির স্ত্রী হলেন বিজেপি নেত্রী। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। অভিযুক্তরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলেই তিনি করেছেন অভিযোগ। অন্যদিকে রাজ্যসভার সদস্য দিগবিজয় সিং ঘটনার একটি ভিডিও রিটুইট করে বলেছেন, “আমার কাছে তথ্য আছে যে বিজেপির দীনেশ কুশওয়াহার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেখা যাক তাকে গ্রেফতার করা হয় কি না।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর