বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফ্রান্সের নিস শহরে গির্জায় প্রবেশ করে ৩ জনকে নির্মমভাবে হত্যার পর এক ভিডিও ভাইরাল (Viral video) হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। বেশকিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে ফ্রান্স (France)। মুসলিম ধর্মের পথ প্রদর্শক নবী হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের কারণে স্কুল শিক্ষকের শিরচ্ছেদের পর গির্জায় সন্ত্রাসী হামলা। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে ফ্রান্স।
ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলা
ফ্রান্সের নিস শহরে এক গির্জার মধ্যে ঢুকে এক মহিলার মুণ্ডচ্ছেদ এবং আরও দুজনকে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। এই সন্ত্রাসবাদী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্সের নিস শহরের মেয়র ক্রিস্টিয়ান এস্ত্রোসি এক টুইট করে জানান, এই নৃশংস ঘটনাটি নিস শহরের নতর দাম গির্জার কাছে অথবা ভিতরেই ঘটেছে। অভিযুক্ত আততায়ী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে। যে ৩ জনেরব উপর আক্রমণ হয়েছিল, তাদের মৃত্যু হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অনেকেই আহতও হয়েছেন।
ভাইরাল ভিডিওর বিষয়বস্তু
গির্জায় হামলায় মৃত ব্যক্তিদের উদ্যেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার নটরড্যাম চার্চের কাছে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত জনগণ সন্ত্রাসবাদী সংস্থা ISIS-এর বিরুদ্ধে শ্লোগান তুলে ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীত পরিবশন করে। সেখানে দাঁড়িয়েই তারা শ্লোগান তোলে ‘ইসলাম ইউরপে ফিরে যাও’। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (Viral video) হয় স্যোশাল মিডিয়ায়।
https://twitter.com/RemyBuisine/status/1321940569615159297
এইদিনের এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সমাবেশে নিসের অধিবাসীরা মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। সেইসঙ্গে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাতে থাকে।
‘আল্লাহ-হু-আকবার’ বলে চিৎকার করে হামলাকারীরা
ফ্রান্সের নিস শহরের মেয়র ক্রিস্টিয়ান এস্ত্রোসি আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর তারা ‘আল্লাহ-হু-আকবার’ বলে চিৎকার করেছিল। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল প্যারিসের হামলার ঘটনায়। ফ্রান্সের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিভাগ এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে।
ইসলামীক সন্ত্রাসী আক্রমণ!
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রন এই ঘটনাকে ‘ইসলামীক সন্ত্রাসী আক্রমণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, জনগণের সুরক্ষার কারণে সেনা সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ৩ হাজার থেকে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৭ হাজার করা হবে।হয়েছে।