বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে (Pakistan) আরও একবার হিন্দু মন্দিরকে নিশানা করা হল। বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রান্তের সাদিকাবাদ জেলার ভং শরীফ গ্রামে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তর। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হওয়ার পর ফের পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের নির্মম কাহিনী সামনে আসে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে উপদ্রবিরা আচমকাই মন্দিরে ঢুকে লাঠি-ডাণ্ডা নিয়ে হামলা শুরু করে দেয়। তাঁরা মন্দিরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। উপদ্রবিরা মন্দিরে রাখা দেব-দেবীর মূর্তিও ভেঙে দেয়। এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্পেশ্যাল অ্যাসিসটেন্ট শাহবাজ গিল টুইট করে বলেন, এটা খুবই দুঃখের আর দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা দেশের জনতাকে ভরসা দিচ্ছি যে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাকিস্তানের সংবিধান সংখ্যালঘুদের স্বাধীন ভাবে ধর্ম পালন করার অনুমতি ও নিরাপত্তা দেয়।
You are free to go you temple? Watch this brazen attack on a temple in the broad daylight.
Another bad day for #Hindus as Ganesh #Temple in Bhong city of Rahimyar Khan was attacked by miscreants. The beasts daringly live telecast the attack on Facebook: https://t.co/uVq8UYBkQB pic.twitter.com/SzGrtIxEzk
— Kapil Dev کپل دیو (@KDSindhi) August 4, 2021
উল্লেখ্য, এটাই প্রথম না যে পাকিস্তানে এমন ঘটনা ঘটল। এর আগেও বহুবার পাকিস্তানে ধার্মিক সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কাহিনী উঠে এসেছে। ডিসেম্বর মাসেই খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১০০-র বেশি উন্মাদি ভিড় একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানোর পর আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। ওই ঘটনা করক জেলার টেরি গ্রামে ঘটেছিল। সেখানে স্থানীয় মৌলবির নেতৃত্বে মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় কট্টরপন্থী জমিয়েত উলেমা-এ-ইসলাম পার্টির নেতা রহমত সামাল খট্টক সহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।