বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় এমন ছিল যখন দোকানদার বা গাড়ির চালককে খুচরো পয়সা দিলে তার মুখে ফুটতো চওড়া হাসি। কিন্তু বর্তমানে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে এক টাকা বা দু টাকার কয়েন অনেকেই নিতে অস্বীকার করেন। সরকারিভাবে এই কয়েন গুলির মান্যতা অন্যান্য টাকার মতোই সমানভাবেই বৈধ। খুচরো পয়সার অধিক যোগানে অনেকেই খুচরো নিতে অস্বীকার করেন।সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে ফেসবুকের দৌলতে।
নিমাই সিংহ নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, তিনি বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট থেকে ব্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য দুপুর দেড়টা নাগাদ পাঁচটি টিকিট কাটেন। কাউন্টারের ভেতর বসে থাকা একটি লোক তাকে পাঁচটি টিকিট দেন এবং তার কাছ থেকে ৭৫ টাকা ভাড়া হিসেবে চান। এরপর নিমাই বাবু তাকে একটি ৫০ টাকার নোট, একটি ৫ টাকার কয়েন ও দশটি ২ টাকার কয়েন দেন।”
নিমাইবাবু আরও লিখেছেন, ‘সেই মুহূর্তে কাউন্টারের লোকটি টিকিটগুলি পুনরায় ফিরিয়ে নেন এবং দু টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলতে থাকেন পাঁচ টাকার কয়েন দিলে তবেই নেব নয়তো নেব না। কাউন্টারের লোকটিকে নিমাইবাবু জিজ্ঞেস করেন যে কেন উনি দুই টাকার কয়েন গুলো নিতে অস্বীকার করছেন। কাউন্টারে লোকটি জবাব দেন, “আমি কোনমতেই ঐ খুচরা পয়সা নিতে পারবো না এবং আপনাকে টিকিট দেব না।”
সম্প্রতি এই ঘটনার ভিডিওটি নিমাই বাবু তার ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন। উনি সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ভারতবর্ষে কি এক টাকা বা দু টাকার কয়েন অচল? ভারতীয় রেলই কি ওই লোকটিকে খুচরা পয়সা নিতে বারণ করেছে? পরবর্তীতে কোথায় অভিযোগ জানালে এর সুরাহা হবে তা তিনি জানতে চান ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে। এই ভাইরাল ভিডিওতে টিকিট কাউন্টারে গেঞ্জি পরনে ব্যক্তিকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্বভাবতই টিকিট কাউন্টারে যিনি দায়িত্বে থাকেন, তিনি সর্বদা রেলের পোশাকই পরে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে তা হয়নি।