বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে, যেখানে সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) এক নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections) যদি সমাজবাদী পার্টি জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, তাহলে ‘প্রসাব” দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমাজবাদী পার্টির নেতার এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চারিদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে।
বলে দিই, সমাজবাদী পার্টির নেতার এই বিতর্কিত বয়ানের ভিডিও বিজেপির নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন। উনি ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যদি সমাজবাদী পার্টির সরকার ক্ষমতা আসে, তাহলে ওঁরা মৌলানার প্রসাব দিয়ে প্রদীপ জ্বালাবে- সলমান কুরেশি। এরকম চমৎকার দেখতে হলে সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিন।”
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, কয়েকজন মানুষ বসে রয়েছেন। পিছনে সমাজবাদী পার্টির একটি ব্যানারও দেখা যাচ্ছে। সেখানে বসে থাকা মানুষেরা সলমান কুরেশির সেই বয়ানে উজ্জীবিত হয়ে হাততালিও দিচ্ছেন।
https://twitter.com/amitmalviya/status/1467916708799295489?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1467916708799295489%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fzeenews.india.com%2Fhindi%2Findia%2Fif-samajwadi-party-will-come-in-power-lamp-to-be-lit-with-urine-sp-leader-controversial-remark-before-election%2F1042483
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই নেতাদের মুখে বুলি ফুটছে আর তাঁরা বিতর্কিত বয়ান দিয়ে চলেছে। এর আগে মুরাদাবাদ থেকে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এসটি হাসান বিতর্কিত বয়ান দিয়ে বলেন, ‘ভারতের জন্য, উত্তর প্রদেশের জন্য আর হিন্দু-মুসলিম একতার জন্য সবাইকে অবগত করছি যে, নির্বাচন আসন্ন। আল্লাহর দোহাই দিচ্ছি, এবার ভাগাভাগি করবেন না। আপনাদের সবার একটাই উদ্দেশ্যে হওয়া উচিৎ, সেটা হল বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। বিজেপি যা করবে সেটা আপনি এখন বুঝতে পারবেন না। কিন্তু ১০ বছর পর হাহুতাশ করে বলবেন আমাদের এ কী হল।”
সাংসদ আরও বলেন, বিজেপির সরকার একটি আইন আনছে, সেটা হল কমন সিভিল কোড। CAA-র বিরুদ্ধে আমি আন্দোলন করেছি। আমি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ রদের বিরুদ্ধেও ছিলাম। আমি লোকসভায় আওয়াজ তুলেছি। কিন্তু যদি কমন সিভিল কোড লাগু হয়, তাহলে মুসলিমদের ‘পার্সনাল ল” শেষ হয়ে যাবে। আমাদের অধিকার শেষ হয়ে যাবে। আমরা আর দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারব না।”