বাংলা হান্ট ডেস্ক: গান ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বরং, তীব্র খুশিই হোক কিংবা গভীর দুঃখ গানকে সঙ্গী করেই সময় অতিবাহিত করতে ভালোবাসেন সবাই। তবে, সঙ্গীতের মূর্ছনা কি শুধু মনুষ্য সমাজকেই আকৃষ্ট করে? বোধহয় না। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও দেখে অন্তত সেইরকমই আঁচ পেতে পারেন সবাই।
আমরা সবাই জানি যে, বর্তমান সময়টি হল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আর সোশ্যাল মিডিয়া মানেই এখন ভাইরাল হওয়া হাজার হাজার ভিডিওর ভিড় পরিলক্ষিত হয়। শুধু তাই নয়, সেই সব ভিডিওগুলি দেখতেও ভালোবাসেন নেটিজেনরা। কাজের ফাঁকে হোক কিংবা অবসরে, সময় পেলেই এগুলি দেখতে থাকেন সবাই।
তবে, নেটমাধ্যমের একাধিক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কন্টেন্টের ভিডিও ভাইরাল হলেও নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ দেখতে ভালোবাসেন পশু-পাখিদের ভাইরাল হওয়া অকৃত্রিম ভিডিওগুলি। যেই কারণে এই সংক্রান্ত নতুন কোনো ভিডিও নেটমাধ্যমে এলেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাড়ির পোষ্য কুকুরও যে পিয়ানো বাজিয়ে গান গাইতে পারে তা এই ভিডিওটি না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে পারবেন না।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, একটি পোষ্য কুকুর মনের আনন্দে পিয়ানো বাজিয়ে গান করছে। পেছনের দু’টি পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে সামনের পা দু’টি দিয়ে টুং টাং করে পিয়ানো বাজাতে থাকে কুকুরটি। তবে, এখানেই শেষ নয়, পাল্লা দিয়ে পিয়ানোর সুরের সাথে গলা উঁচিয়ে গানও করতে থাকে সে। অর্থাৎ পিয়ানো বাজানোর সাথে সাথেই গান করতে থাকে কুকুরটি। ভিডিওটির শেষে দেখা যায়, পোষ্যের অনবদ্য এই পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন ওখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি।
এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে সাড়া ফেলে দিয়েছে নেটমাধ্যমে। কুকুরের পিয়ানো বাজানোর এই বিরল ভিডিও দেখে সকলেই তার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি, নেটাগরিকরা ভিডিওটিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন। “Buddy Mercury” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। পাশাপাশি, ২৭ হাজার জনেরও বেশি লাইক করেছেন এটি।
এছাড়াও, ভিডিওটি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটাগরিকরা। যেভাবে মানুষকে নকল করে কুকুরটি গানের চেষ্টা করেছে তাতে সকলেই অবাক। এই প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, “আমরা তার কণ্ঠে আবেগ শুনতে পাচ্ছি। সত্যি এই পারফরম্যান্স মনে থাকবে”। পাশাপাশি, আরও একজন কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, “৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গান শেখাচ্ছি। আমার ছাত্রদের মধ্যে কেউই এই “বন্ধু”র মতো গান গাইতে পারেনি!”