বানরের গর্ভে আটকে ছিল মৃত বাচ্চা! এভাবে সাহায্য করে প্রাণ বাঁচালেন পুলিশকর্মী! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ কনস্টেবল একটি অসহায় বানরের জীবন বাঁচিয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। জানা গিয়েছে বানরটির গর্ভে একটি মৃত শাবক আটকে ছিল। যার ফলে জীবনহানি ঘটতে পারত মা বানরটির। এমতাবস্থায়, সেটিকে বাঁচাতে ছুটে আসেন কোতোয়ালির পিআরভির কনস্টেবল বিনোদ সিং এবং তাঁর সহকর্মী কৃষ্ণ কুমার। তাঁরাই বানরটির গর্ভে আটকে থাকা মৃত শিশুটিকে বের করে বানরের জীবন রক্ষা করেন।

এদিকে, এই মহৎ কাজের জন্য সর্বত্র প্রশংসার ঝড় উঠেছে। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে পুরো বিষয়টি স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসপি রাজেশ কুমার সিং ওই কনস্টেবলকে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার বাবদ দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়:
মূলত এই ঘটনাটি ঘটেছে ফতেপুরের খাগেতে। শুক্রবার বিজয়নগর এলাকায় একটি বানর প্রসব করার সময়েই তার গর্ভে আটকে যায় শিশুটি। এমতাবস্থায়, গভীর যন্ত্রণায় রীতিমতো কাতরাতে থাকে সেটি। পাশাপাশি, সেখানে উপস্থিত একজন এই ভিডিওটি রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন। ওই ভিডিওটি দেখেই কোতোয়ালির পিআরভির কনস্টেবল বিনোদ সিং এবং তাঁর সঙ্গী কৃষ্ণ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

বানরটি নতুন জীবন ফিরে পায়:
গর্ভে আটকে থাকা মৃত শিশুটিকে বের করে বানরটির জীবন বাঁচান বিনোদ কুমার। ইতিমধ্যেই ফতেপুর পুলিশ তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিওটি শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে কনস্টেবল বিনোদ কুমার একটি নর্দমা থেকে যন্ত্রণায় কাতর বানরটিকে বের করে তারপর একটি কাপড়ের সাহায্যে তার গর্ভে আটকে থাকা মৃত শিশুটিকে বের করেন। সেই সময় তিনি খুব সতর্কও ছিলেন। আর এভাবেই তিনি জীবন বাঁচান বানরটির।

চারিদিকে প্রশংসার ঝড়:
কনস্টেবল বিনোদ কুমারের এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই সবাই তাঁর এই কাজের প্রশংসা করছেন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিনোদ ফতেপুরের খাগে থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি এখন PRV-3521-এ ডিউটি করেন।

মৃত বাচ্চাটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়:
জানা গিয়েছে, বিজয়নগর এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ পাল ছবিটি ট্যুইট করে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানান। তারপর এসডিএমও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। যদিও, পশুপালন দফতরের দল পৌঁছনোর আগেই ওই কনস্টেবল মৃত শিশুটিকে বের করেন। মূলত, ওই কনস্টেবলের এক আত্মীয় পশুপালন বিভাগে কর্মরত ছিলেন, তাঁর পরামর্শ মতোই তিনি বানরটিকে বাঁচিয়ে তোলেন। এদিকে, এলাকার বাসিন্দারা একটি গর্ত খুঁড়ে মৃত বাচ্চাটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর