সংসদে বসে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু সাংসদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার চলাকালীন কতজন সাংসদ মন দিয়ে সেই আলোচনা শোনেন? থাইল্যান্ডের (thailand) জনপ্রতিনিধির আচরণ ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশন চলাকালীন তাকে দেখা যায় মোবাইলে পর্ণোগ্রাফি দেখতে। মুহুর্তে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও (viral video)।
তবে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরও বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত বা অপরাধবোধে ভুগছেন না ঐ জনপ্রতিনিধি। রনথেপের সাফ বক্তব্য, কোনো এক মহিলা তার কাছ থেকে সাহায্যের আশায় ঐ ছবিগুলি পাঠিয়েছেন। ঐ মহিলার সাহায্য করা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল। তাই সেই ছবিগুলিকে খুঁটিয়ে দেখে তিনি বিচার করছিলেন সেই মহিলা কতখানি বিপদের মধ্যে রয়েছেন। যদিও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে ঐ ফুটেজের কোনো মিলই নেই। সেগুলি খাঁটি নীল ছবি।
ইতিমধ্যেই রনথেপের এই আচরণ নিয়ে উথাল-পাতাল সেই দেশ। সংবাদ মাধ্যম বার বার তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ক্ষোভ উঠেছে জনগনের পক্ষ থেকেও। যদিও এতসন কিছুতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন তিনি। তিনি বলছেন, নিজের মোবাইলে তিনি কখন কি দেখবেন তা একান্তই তার ব্যাক্তিগত বিষয়।
ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে তার জবাব তলব করা হয়েছে। তবে সম্ভবত এই আচরণের জন্য তিনি কোনো শাস্তির মুখে পড়বেন না৷ কারণ সে দেশে সাংসদ ভবনে বসে নীল ছবি দেখার ব্যাপারে কোনো শাস্তির বিধান নেই। তবে সংবাদ মাধ্যম ও বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার কি করবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি, জনগনের রোষের মুখে পড়ে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে জিতবেন কিনা সেটাও সময় বলবে।