Viral Video: “রাস্তার আলোয় পড়তেন স্টাইল দেখানোর জন্য”! বিদ্যসাগরকে নিয়ে লেখা রচনা পড়ে বাকরুদ্ধ নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেক বাঙালি তথা ভারতীয়দের কাছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হলেন একজন প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। পাশাপাশি, তিনি ছিলেন একজন সমাজসংস্কারকও। তাঁর লেখা “বর্ণপরিচয়”-এর হাত ধরেই কার্যত পড়াশোনার জগতে প্রবেশ করি আমরা। শিক্ষা-সাহিত্য-নারীশিক্ষা-বিধবা বিবাহ থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি কল্যাণকর ক্ষেত্রেই তিনি তাঁর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আর যে কারণে তিনি সকলের কাছে পরিচিত রয়েছেন “দয়ার সাগর” হিসেবেও।

স্বাভাবিকভাবেই, এই মনীষীর জীবনীও আমরা সকলেই কম-বেশি জানি। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম বীরসিংহে জন্মগ্রহণ করেও তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই তিনি করে গিয়েছেন তাঁর কাজ। আর যেগুলির সুফল এখনও লাভ করছি আমরা। কিন্তু, এবার এই মহান মানুষকে নিয়ে লেখা একটি রচনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। যেটি পড়ে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। বিদ্যাসাগরের মত একজন যুগপুরুষকে নিয়ে যে এভাবেও রচনা লেখা যায় তা কার্যত মানতে পারছেন না কেউই।

পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে এই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মূলত, একাদশ শ্রেণির বালা সাউ নামের এক পড়ুয়া এই রচনাটি লিখেছে বলে জানানো হয়েছে ওই ভিডিওটিতে। আর তারপরেই একের পর এক অদ্ভুত তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই রচনায়।

ঠিক কি লেখা রয়েছে রচনাটিতে?
মূলত, ওই রচনাটিতে লেখা হয়েছে যে, বিদ্যাসাগরের জন্ম হয়েছে অনেকদিন আগে। এমনকি, তাঁর পিতা-মাতার নাম পড়তে গিয়েও চমকে গিয়েছেন সবাই। পুরো রচনাটির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হল:
বিদ্যাসাগরের “বাবার নাম-ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (হবে হয়তো)। মায়ের নাম- ভগবতী দেবী, ঠিক আছে মনে হল। প্রথমত, বিদ্যাসাগরের কোনো স্টাইল ছিলনা। স্কুলে যেতেন সাধারণ সরিষার তেল মাথায় দিয়ে। কোনো হেয়ার স্টাইল ছিলনা। বিদ্যাসাগর এত জ্ঞানী ছিলেন, এখনকার দিনে হলে NASA-তে জব পেয়ে যেতেন। তিনি কোনোদিন কাটা-ছেঁড়া জিন্স পরতেন না। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে পড়তেন শুধু লোকের কাছে স্টাইল দেখানোর জন্য। বিদ্যাসাগরের Best Friend ছিলেন রবি ঠাকুর। বিদ্যাসাগরের কোনো Facebook ছিলনা। কোনো দিন একবার হলেও Youtube করেছে কিনা জানা নেই।”

পাশাপাশি, ভিডিওটিতে বলা হয়েছে যে, এই অদ্ভুত রচনা লেখার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দশের মধ্যে এক নাম্বার দিয়েছেন ওই পড়ুয়াকে। এছাড়াও, তাকে সাসপেন্ডও করা হয়। এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে তোলপাড় করেছে নেটমাধ্যম। ইতিমধ্যেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শক সংখ্যাও। প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষ ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন। পাশাপাশি, অনেকেই এই ভিডিওটিকে “কন্টেন্ট”-এর জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করেছেন। যদিও, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।

এছাড়াও, ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। বিদ্যাসাগরের মত একজন মনীষী সম্পর্কে লিখতে গিয়ে এইসব তথ্য উপস্থাপন যে সামাজিক অবক্ষয়কেই সূচিত করছে তারও অবতারণা করেছেন তাঁরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর