Umbrella বানান বলতেই কালঘাম ছুটছে উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত শুক্রবার রাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। সেই ফলাফলে দেখা যায় যে, মোট ২৭২ জন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে মেধাতালিকায়। পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে পাশের হারও এই বছর অত্যন্ত ভালো। কিন্তু, ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই কার্যত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করতে থাকে উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, তারা দাবি জানাতে থাকে, যে করেই হোক পাশ করিয়ে দিতে হবে তাদের।

এমনকি, কখনও স্কুলের সামনে, কখনও বা রাজপথে ধর্ণা দিয়ে আবার কখনও বিকাশ ভবনের সামনেই বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে পড়ুয়ারা। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই এই ছবি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করা পড়ুয়ারা যশোর রোড অবরোধ করে। পাশাপাশি তারা হুমকিও দেয় যে সকলকে পাশ না করালে অনশনের পথে হাঁটবে তারা। শুধু তাই নয়, বনগাঁ কুমুদিনী স্কুলের এক ছাত্রী আবার আত্মহত্যার প্রসঙ্গও টেনে আনে।

এদিকে, শিলিগুড়ির বাল্মীকি বিদ্যাপীঠের অনুত্তীর্ণ ছাত্রীরা আবার পাশ করতে না পারায় সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তারা জানিয়েছে “দিদি” চাকরি দিতে পারবে না বলেই ফেল করানো হয়েছে তাদের। এমতাস্থায়, দিনভর রাজ্যজুড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের ছবি সামনে এসেছে।

ঠিক সেই আবহেই নতুন করে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের দাবিতে বিক্ষোভ জানাতে এসে একটি সাধারন বানান বলতে গিয়েই রীতিমতো কালঘাম ছুটছে পড়ুয়াদের। মূলত, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একদল ছাত্রী রাস্তার ওপরে বসেই পরীক্ষায় পাশের জন্য দাবি তুলছিল। পাশাপাশি তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ডও।

এছাড়াও, তারা অভিযোগ করে যে তাদেরকে ইংলিশে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক তাদের “Umbrella” বানানটি বলতে বলেন। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। ওই বানানটি বলতে গিয়েই রীতিমতো কালঘাম ছুটতে থাকে তাদের। এমনকি, নিজেদের মতো করেই অক্ষর সাজিয়ে বানান বলতে থাকে তারা। যা দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই।

এদিকে এই ভিডিওটিই এখন ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি, ইংরেজিতে পাশের দাবি জানিয়েই সামান্য একটি বানান বলতে গিয়ে ওই ছাত্রীদের যা অবস্থা হয়েছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সকলের। এমনকি এই ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। যাদের মধ্যে অধিকাংশের মত, যেখানে এই বানান বলতে গিয়েই হোঁচট খেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের সেখানে উচ্চমাধ্যমিকের মত পরীক্ষায় তারা কিভাবে ইংরেজিতে পাশের দাবি জানাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর