বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আচমকাই ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন বিরাট কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়া একটি বিশাল এবং সুসজ্জিত বার্তার মাধ্যমে সকলের কাছে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি-কে, যিনি অধিনায়ক বিরাটের ওপর বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে মাঠের ভেতর জয়ের সময় অধিনায়ক হিসেবে তার উদ্দেশ্য সফল করে তোলার জন্য সতীর্থদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোহলি। কিন্তু সেই বার্তার একটি বিষয় নিয়ে সকলের খটকা লেগেছে।
কোহলি নিজের অধিনায়কত্বের বেশিরভাগ সময়টা রবি শাস্ত্রীর কোচিংয়ে কাটিয়েছেন। সেইজন্য প্রাক্তন ভারতীয় কোচকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোহলি। তারপর যে ব্যাপারটা তিনি করেননি সেই নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রাবিড় এবং কুম্বলেও কোচিংয়েও অধিনায়কত্ব করিয়েছেন কোহলি। কিন্তু বিদায় বার্তায় তাদের কারোর নামের উল্লেখ করেননি। এর আগে কুম্বলে যখন ভারতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন তখন শোনা যায় কোহলির সঙ্গে তার সম্পর্কই সেই সিদ্ধান্তের মূল কারণ ছিল। এরপর শোনা যায় কিছুদিন আগে শাস্ত্রী-কে সরিয়ে দ্রাবিড়-কে আনার সিদ্ধান্তও খুব একটা পছন্দ ছিল না কোহলির। বিদায়বার্তায় দুজনের নাম না থাকা আরও একবার সেই বিতর্ক উস্কে দিলো।
বিরাট কোহলি এখন শুধুমাত্র ব্যাটার হিসাবেই সব ফরম্যাটে ভারতীয় দলের সাথে যুক্ত থাকবেন। ২০১৫ সালে ভারতের টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়া বিরাট, ২০২২ সালে এসে সমস্ত ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়কত্ব থেকে মুক্ত হলেন। বিরাট গত বছরই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন এবং প্রায় এক মাস আগে তাঁর কাছ থেকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর বিরাট কোনও ফরম্যাটেরই অধিনায়ক নন। অথচ আড়াই মাস আগে তিনি তিন ফরম্যাটেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। ৬৮ দিনের মধ্যে তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন তিনি। এর পরে কে টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কে নেবেন? এখনও অবধি সেই দৌড়ে এগিয়ে লোকেশ রাহুল।