বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগেই সকলকে চমকে দিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে আর ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক থাকবেন না তিনি। তার কিছুদিন পরেই এই মরশুমের পর রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন বিরাট। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
অনেক বিশ্লেষক এও মনে করছেন, শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনাযকত্বই নয়, হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়াতে পারেন ভারতীয় তারকা। নিজের ক্রিকেট জীবন আরও দীর্ঘ করার জন্য এমনটা করতে দেখা গিয়েছে অনেকেই। একটা সময় টেস্ট ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষণ, অনিল কুম্বলে অনেককেই দেখা গিয়েছে একটা সময়ের পর কেবলমাত্র টেস্ট ক্রিকেটেই ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে।
আগামী ৫ নভেম্বর ৩৩ বছরে পা দেবেন কোহলি, তার ফিটনেস দেখে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় আরও চার থেকে পাঁচ বছর সহজেই ক্রিকেট খেলবেন তিনি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হয়তোবা বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই খেলতে দেখা যাবে রান মেশিনকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে তিন ফরম্যাটে ভারতের হয়ে অধিনায়কত্ব শুরু করেন বিরাট। একইসঙ্গে আইপিএলেও অধিনায়কত্ব শুরু করেন তিনি। তবে একদিকে যেমন ভারতের অধিনায়ক হিসেবে তার ক্যাবিনেটে নেই কোন আইসিসি ট্রফি, তেমনি রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকেও ট্রফি এনে দিতে পারেননি বিরাট।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়ক হবার পর তার খেলার গ্রাফ কিছুটা পড়েছে। অধিনায়ক হবার আগে পর্যন্ত মোট ৪৫ টি ম্যাচ ৫২.৬৫ গড়ে ১৬৫৭ রান করেছিলেন তিনি। ছিল ১৬ টি হাফ সেঞ্চুরি। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরে খেলা ৪৫টি ম্যাচে বারোটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে কোহলির। রয়েছে ১৫০৪ রান, কিছুটা কমেছে ব্যাটিং গড়ও। অন্যদিকে ২০১৯ সালের পর থেকে শত রান আসেনি রান মেশিনের ব্যাট থেকে। যদিও এরই মাঝে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে হয়তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নিতে পারেন কোহলি।