বাংলাহান্ট ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ইউপিএসসি-র লড়াই, ব্যর্থতা পেরিয়ে সাফল্যের (Success Story) শিখরে বিশাখা। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির অন্যতম, যেখানে সাফল্যের হার অত্যন্ত কম এবং ব্যর্থতাই অধিকাংশ প্রার্থীর নিত্যসঙ্গী। বছরের পর বছর পরিশ্রম করেও বহু পরীক্ষার্থী লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন না। তবে কিছু অনুপ্রেরণাদায়ক সাফল্যের গল্প প্রমাণ করে দেয়, দৃঢ় সংকল্প ও অধ্যবসায় থাকলে ব্যর্থতাও সাফল্যের সিঁড়ি হয়ে উঠতে পারে। তেমনই এক দৃষ্টান্ত দিল্লির বাসিন্দা আইএএস বিশাখা যাদব, যিনি প্রথম দু’টি প্রচেষ্টায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলেও তৃতীয় চেষ্টায় অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক ৬ অর্জন করে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেন।
আইএএস বিশাখা যাদবের অসাধারণ সাফল্যের কাহিনি (Success Story)
দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (ডিটিইউ) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর বংশিকা যাদব একটি বহুজাতিক সংস্থায় উচ্চ বেতনের চাকরি পান। বেঙ্গালুরুতে সিসকোর মতো নামী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকাকালীন তিনি আর্থিক স্থিতিশীলতা ও পেশাগত সাফল্য উপভোগ করছিলেন। তবু তাঁর মনে ছিল দেশের প্রশাসনে যুক্ত হয়ে সরাসরি মানুষের জন্য কাজ করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা, যা তাঁকে সিভিল সার্ভিসের পথে টেনে আনে।
আরও পড়ুন: তিন দিনেই ছাপিয়ে গেলেন কোহলিকে, ভারত সফরে কত উপার্জন হল মেসির, জানেন?
ভালো চাকরি ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ থাকা সত্ত্বেও বিশাখা ঝুঁকি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই স্বপ্ন অনুসরণ না করলে সারাজীবন আফসোস থেকে যাবে। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পথটি কঠিন হলেও আইএএস অফিসার হওয়ার লক্ষ্য থেকে তিনি এক মুহূর্তের জন্যও সরে যাননি।
এই দীর্ঘ ও চ্যালেঞ্জিং যাত্রায় তাঁর পরিবার ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা। তাঁর বাবা রাজকুমার যাদব একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এবং মা সরিতা যাদব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কঠিন সময়ে তাঁদের উৎসাহ ও বিশ্বাস বিশাখাকে মানসিক শক্তি জুগিয়েছে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

আরও পড়ুন: দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে স্বস্তি, ২০০৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে চাকরির নির্দেশ দিল হাই কোর্ট
প্রস্তুতির পথে বিশাখা যাদব প্রথম দু’বার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। অনেকেই যেখানে এই পর্যায়ে আশা ছেড়ে দেন, সেখানে তিনি নিজের ভুল বিশ্লেষণ করে কৌশল বদলান, দুর্বল দিকগুলোতে আরও বেশি জোর দেন এবং কঠোর শৃঙ্খলার সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যান। সেই অধ্যবসায়ের ফল মিলেছে তৃতীয় চেষ্টায়। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তিনি অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক ৬ অর্জন করে আইএএস অফিসার হন। তাঁর এই সাফল্য আজও অসংখ্য পরীক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করে, বিশেষ করে তাঁদের, যাঁরা প্রাথমিক ব্যর্থতার কারণে নিজের সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন।












