বাংলাহান্ট ডেস্ক: রিয়া চক্রবর্তীর (rhea chakraborty) করা যাবতীয় অভিযোগ, বক্তব্যের বিরুদ্ধে এবার পালটা তোপ দাগলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) জামাইবাবু বিশাল কৃতি। সাম্প্রতিক কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সুশান্ত ও তাঁর পরিবারের সম্পর্কে বেশ কিছু দাবি করেন রিয়া। নিজের সপক্ষে গলা ফাটিয়ে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের বিরুদ্ধে করেন একাধিক অভিযোগ।
এবার সেই প্রত্যেকটি প্রসঙ্গ ধরে ধরে পাল্টা উত্তর দিলেন সুশান্তের জামাইবাবু। তাঁর কথায়, এটা রিয়ার পিআর এর আয়োজন করা একটা স্টান্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। রিয়ার খাড়া করা গল্পটা প্রকাশ্যে আনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্মের দরকার ছিল। সাক্ষাৎকারে সেটাই পেয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখানে যে অভিযোগ ও দাবিগুলি রিয়া করেছেন তার উত্তর দেওয়া এবার জরুরি বলে মন্তব্য করেন অভিনেতার জামাইবাবু।
প্রথমেই মুম্বই পুলিসের উদ্দেশে তোপ দাগেন বিশাল কৃতি। সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময়ের উল্লেখ নেই কেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুম্বই পুলিসের পক্ষে দাবি করা হয়েছিল মৃত্যুর আগে সুশান্ত গুগলে সার্চ করেছিলেন যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর উপায়। কিন্তু আসলে তা সত্যি নয়। তিনি খুঁজছিলেন হিমাচল ও কেরলে জমি। তাহলে মুম্বই পুলিস এমনটা কেন বলল? বিশালের দাবি, এটা হয় খুন নাহলে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা।
রিয়ার দাবি, সুশান্ত নিজে মাদক সেবন করতেন। কিন্তু তিনি ওষুধ খেতে চাইতেন না ঠিক মতো। বিশালের বক্তব্য, সুশান্ত ওষুধ না খেতে চাইলে তাঁকে যেমন কিছু বলা হয়নি। তেমন মাদক সেবন করলেও কেন বাধা দেওয়া হয়নি? তাহলে কি মে মাসের শেষ থেকে সুশান্ত সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেন বলে তিনি আর মাদক নিতে চাননি? তখন তাঁকে বাধ্য করা হলে তিনি ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন? যার জেরে তাঁর এটিএম কার্ডের পিন বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর জন্যই তিনি অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
রিয়া সাক্ষাৎকারে একাধিক বার দাবি করেছেন, পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাইতেন না সুশান্ত। পাল্টা বিশাল কৃতি বলেন, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। সুশান্ত পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চাইতেন। কিন্তু রিয়া তাঁকে আটকে রাখতেন।
সুশান্ত ও তাঁর বাবার সম্পর্ক নাকি ভাল ছিল না। এমনটাই দাবি করেন রিয়া। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আসার আগে ৫ বছর বাবার সঙ্গে দেখা করেননি সুশান্ত।
ছোটবেলাতেই সুশান্তকে ও তাঁর মাকে কে কে সিং দূরে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন রিয়া। কিন্তু সুশান্তের জামাইবাবু জানান, অভিনেতার বাবা তাঁকে দিদি প্রিয়াঙ্কার কাছে দিল্লিতে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছিলেন। প্রত্যেকটা মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মা ই যেমন করে থাকেন সন্তানের ভালর জন্য।
বিশাল আরও দাবি করেন, রিয়া বলেছেন সুশান্ত গাঁজার নেশা করতেন। কিন্তু প্রেমিকা যদি তা পছন্দ না করে তাহলে কেন করবেন তিনি? এতে দুটো সম্ভাবনা উঠে আসে। হয় সুশান্তকে জোর করে নেশা করানো হত নাহলে রিয়া নিজে নেশা করতেন যা থেকে সুশান্তের অভ্যাস হয়ে যায়।
৮ জুন সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কি ঘটেছিল তা জানেন না রিয়া। তাঁর আক্ষেপ সেই সময় তিনি যদি সুশান্তের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন তাহলে এমনটা হত না। বিশাল অভিযোগ করেন, সুশান্তের দিদি মীতু ১২ জুন চলে যান সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে। তারপর কেন ফোন করেননি রিয়া? তাহলে কি তিনি জানতেন খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে সুশান্তের সঙ্গে? প্রশ্ন তুলেছেন বিশাল কৃতি।