বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরবঙ্গের (North Bengal) গজলডোবা (Gazaldoba) ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পর্যটকদের (Tourist) কাছে। কয়েক দিনের ছুটিতে ঘুরে আসার জন্য অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছেন গজলডোবাতে। কিছু বছর আগে পর্যন্ত এখানে বেশি পর্যটকদের দেখা মিলত না। তবে শীতকাল (Winter) পড়লেই পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায় এই জায়গায়। সম্মুখে হিমালয়, আর তার নিচে নীল জলাধার গজলডোবাকে করে চলেছে এক অপরূপ প্রাকৃতিক দ্রষ্টব্য স্থান।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দপ্তর (WestBengal Travel and tourism department) এখানে পরিকল্পনা করছে শিকারা পরিষেবা চালু করার। কিন্তু উত্তরবঙ্গের এই জায়গায় যাবেন কিভাবে, থাকবেনইবা কোথায়, এসব কিছুর খুঁটিনাটি চলুন জেনে নেওয়া যাক। উত্তরবঙ্গের একটা ছোট্ট গ্রাম গজলডোবা। এই গ্রামটি অবস্থিত জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের ওদলাবাড়ির খুব কাছে। এই গ্রামের পশ্চিমে মহানন্দা আর পূর্বে তিস্তা। চাষবাসের জন্য বাঁধ দেওয়া হয়েছে তিস্তার উপর এবং সেখান থেকেই নীল জলাধার তৈরি হয়েছে এই গজলডোবায়। তিস্তা এখানে খুব শান্ত। প্রতিবছর শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে এখানে।
এছাড়াও দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির স্রাইক, পেলিক্যান, ওয়াকটেল রাডি সেলডাক। পর্যটকরা মূলত এখানে ভিড় করেন এদের দেখতেই। এছাড়াও নৌকায় চেপে ভ্রমণ এখানে খুবই জনপ্রিয়। তিস্তা জলাধার ছাড়া এখানকার মনোরম আবহাওয়া পর্যটকদের আকর্ষণ করে। যদি আকাশ পরিস্কার থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাও। আবার গজলডোবার একদিকে রয়েছে অপালচাঁদের জঙ্গল আর অন্যদিকে বৈকন্ঠপুর অরণ্য। দুদিনের ছুটির জন্য আপনি চাইলে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে। এই জায়গা থেকে গরুমারা জাতীয় উদ্যান মাত্র 26 কিলোমিটারের পথ।
অনেকেই রয়েছেন যাদের উঁচু জায়গায় শ্বাসকষ্ট হয়। অন্যদিকে উঁচু পাহাড়ে উঠলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। তাদের জন্য আদর্শ ডেস্টিনেশন গজলডোবা। এখান থেকেই আপনারা স্বাদ নিতে পারবেন হিমালয়ের। ২০০ একর জায়গা নিয়ে ইতিমধ্যেই এখানে গড়ে উঠেছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়াও ভবিষ্যতে এই জায়গাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে আপনি পৌঁছতে পারেন গজলডোবা। আবার মালবাজার স্টেশন থেকেও পৌঁছাতে পারেন এখানে। অন্যদিকে বাগডোগরা থেকেও আপনি যেতে পারেন গজলডোবা।