দুদিনের ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন ‘পাপরখেতি’! মনে হবে, ঠিক যেন স্বর্গে পৌঁছলেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই বঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে। আর মাসখানেকের মধ্যে শেষও হয়ে যাবে তা। এই সময় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি গ্রামগুলি এক অনন্য রূপ ধারণ করে। বৃষ্টিতে ভেজা সবুজ প্রকৃতি যেন মায়াবী হয়ে ওঠে এই বর্ষাকালে। এমন অবস্থায় যদি আপনারা কিছুদিনের জন্য উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন।

উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একটি ছোট পাহাড়ি গ্রাম পাপরখেতি (Paparkheti)। এই গ্রামের সবুজে ঘেরা প্রকৃতি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। একবার যদি এই গ্রামে যান তাহলে বারবার যেতে মন চাইবে আপনার। অনেকেই এই গ্রামের নাম শোনেননি। পর্যটক কম আসায় এই গ্রামটি বেশ নিরিবিলি। শিলিগুড়ির কাছে গজোলডোবায় অবস্থিত ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রাম।

পাহাড়ের সবুজ প্রকৃতি এই গ্রামকে এক মায়াবী রূপ দিয়েছে। উপরি পাওনা হিসেবে থাকবে পাহাড়ি ঝরনার সৌন্দর্য। এই গ্রামে রয়েছে চা বাগান। কিছুটা সময় কাটানোর জন্য চা বাগানগুলি একেবারে আদর্শ জায়গা। শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির কোলে বেশ কিছুটা সময় কাটানো যায় এখানে।

গরুবাথানের পাহাড় এখানে উঠে গিয়েছে চেল নদীর গা বেয়ে। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির বারান্দায় দেখতে পাবেন অসংখ্য রংবেরঙের অর্কিড।লাভা-রিশপ এখান থেকে খুব কাছে। সময় থাকলে আপনারা সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন সেখানে। উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ পিকনিক করতে আসেন পাথরখেতিতে। এখানে রয়েছে বিশাল একটি পাথর খন্ড।

papara2 1689515448

হনুমানজির মন্দির রয়েছে তার উপর। ভক্তিভরে পাহাড়ের লোকেরা পুজো করেন এই মন্দিরে। পাহাড়ি নদী বয়ে চলেছে ঠিক মন্দিরের পিছন দিক থেকে। এখানকার চেল নদীর রূপ সত্যিই অসাধারণ। এখানকার পাহাড় বর্ষাকালে মনমুগ্ধকর রূপ ধারণ করে। মন চাইলে বেশ কিছুক্ষণ নদীর পাড়ে বসেও কাটাতে পারেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর