বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন পরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। উত্তর থেকে দক্ষিণ বাংলার সর্বত্র মেতে উঠবে দুর্গোৎসবে। তবে এমন অনেক বাঙালি রয়েছেন যারা দুর্গাপুজোর কয়েকটা দিন চেনা ভিড় থেকে বেরিয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান। এই সময় অনেকেই তাই পাড়ি দেন দিঘা-পুরী কিংবা দার্জিলিং।
তবে অধিকাংশ পর্যটকদের পুজোর সময় হট ডেস্টিনেশন হয়ে থাকে উত্তরবঙ্গের শৈল শহর দার্জিলিং বা কালিম্পং। কিন্তু যে মাত্রায় এই শৈল শহরগুলিতে ভিড় বাড়ছে, তাতে নিরিবিলিতে দুটো দিন ছুটি কাটানোর জো নেই। এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে কিছু অফবিট ডেস্টিনেশন।
আজ আমরা আপনাদের এমন একটি অফবিট পাহাড়ি গ্রাম সম্পর্কে বলব যা অনেকের কাছেই অজানা। দার্জিলিং গিয়ে অনেকেই ঘুরতে যান মিরিক। এই মিরিকের খুব কাছেই অবস্থিত জিম্বা গাঁও। যারা নিস্তব্ধতা পছন্দ করেন এই গ্রাম তাদের জন্য আদর্শ। এই গ্রামে সকালবেলাও শোনা যায় ঝিঁঝি ডাক। এই গ্রামের আকাশে উড়ে বেড়ায় বিভিন্ন রংবেরঙের পাখি।
আরোও পড়ুন : দেবী দুর্গাকে নিয়ে ‘কুকথা’, ঘোর বিপাকে কুরমি নেতা! অজিত প্রসাদের বিরুদ্ধে এবার বড় অ্যাকশন
পক্ষী প্রেমীদের কাছে এই গ্রামটি খুব পছন্দের হয়ে উঠতে পারে। এই গ্রামে থাকার জন্য মাত্র একটি হোমস্টে রয়েছে। একেবারে নতুন এই হোমস্টে। একসাথে বেশি পর্যটকের থাকার জায়গা নেই এখানে। জিম্বা গাঁওতে রয়েছে কমলালেবুর বাগান। আমরা যারা শহরাঞ্চলে বেড়ে উঠেছি, তাদের কাছে কমলালেবুর বাগান চাক্ষুষ করতে পারাটাও বিরাট ব্যাপার।
আরোও পড়ুন : ১ বা ২ নয়, ৪২ কোটি! লটারিতে লক্ষীলাভ ৭৭ বছরের বৃদ্ধর, কিনলেন শুধুই তরমুজ আর ফুল
সেই স্বপ্ন আপনার পূরণ হতে পারে এই গ্রামে এলে। এখানে যে হোমস্টেটি রয়েছে সেখানে আয়োজন করা হয় অর্গানিক খাবারের। এছাড়াও রয়েছে নিজস্ব বাগানের কমলালেবু। জিম্বা গাঁও শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে আসতে পারেন। মিরিক মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিলিগুড়ি থেকে।
সরকারি বাস বা প্রাইভেট গাড়ি করে শিলিগুড়ি থেকে আপনাকে প্রথমে পৌঁছে যেতে হবে মিরিক। আবার মিরিক থেকে গাড়ি বা শেয়ার গাড়ি করে আপনাকে আসতে হবে জিম্বা গাঁও। এই জায়গাটিতে আপনারা বছরের যে কোনও সময় আসতে পারেন। এই গ্রামের চারদিকে বিরাজ করে এক অপার্থিব নিস্তব্ধতা।