বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুক্তির অপেক্ষায় বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’। এই ছবি নিয়ে অনেকদিন ধরেই ছিল উন্মাদনা। কিন্তু আচমকাই ছবির নাম বদলে দেওয়ায় বেড়েছে চর্চা। এই ছবির জন্য বাংলায় শুটিংয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন পরিচালক। এবার বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসকে ছবিতে তুলে ধরতে চলেছেন তিনি। আর এবার এই ছবি নিয়ে বড় আপডেট দিলেন বিবেক (Vivek Agnihotri)।
দ্য বেঙ্গল ফাইলস নিয়ে নতুন পদক্ষেপ বিবেকের (Vivek Agnihotri)
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে বিবেক (Vivek Agnihotri) বলেন, ভারতে মুক্তির আগেই বিদেশে মুক্তি পাবে ছবিটি। আমেরিকার মোট ১০ টি প্রেক্ষাগৃহে আগেভাগেই ছবিটি রিলিজ করতে চলেছেন তিনি। নিউ জার্সি, শিকাগো, হাউস্টন, ওয়াশিংটন ডিসি, আটলান্টা, রেলি, টাম্পা, ফোনিক্স, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং সান ফ্রান্সিসকোর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ১৯ শে জুলাই থেকে ১০ ই অগাস্ট পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহগুলিতে ছবির প্রদর্শনী চলবে।
কী জানালেন পরিচালক: বিবেক বলেন, এই সিরিজের আগের ছবি ‘কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তির আগে দর্শক মহলে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। বক্স অফিসেও প্রচুর সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। তাই এবার মুক্তির আগেই বিশ্ব দরবারে এই ছবির মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থানকে তুলে ধরতে চান বিবেক (Vivek Agnihotri)।
আরো পড়ুন : ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ নিয়ে বিতর্ক, দেশের অভ্যন্তরেই কোণঠাসা ইউনূস, বাতিল ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’
কী উঠে আসবে ছবিতে: জানা গিয়েছে, ১৯৮৪ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দিল্লি ফাইলস তৈরি করছিলেন বিবেক। আবার এও শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়েই নাকি ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক। তবে এই ছবির জন্যই বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে বিবেককে (Vivek Agnihotri)। সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। পরিচালক জানিয়েছিলেন, দিল্লি ফাইলস ছবিতে বাংলার হিংসার ইতিহাস তুলে ধরতে বিগত ছয় মাস ধরেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : ‘ভারত আমাদের চোদ্দ পুরুষের’, দিলজিৎকে ইতিহাসের পাঠ পড়ালেন অভিজিৎ
বিবেকের (Vivek Agnihotri) কথায়, বাংলা এমন এক রাজ্য যা দুবার বিভক্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে একাধিক গণহত্যা হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশে দ্বিজাতিতত্ত্ব নিয়েই বিবাদ ছিল। কিন্তু বাংলায় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল কমিউনিজম এবং নকশাল আদর্শ। বাংলার মতো ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী অন্য কোনো রাজ্য হয়নি।