বাংলাহান্ট ডেস্ক: একটা সুপারহিট পারফরম্যান্স। অ্যাওয়ার্ড, বক্স অফিসে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। তারপরেই আবার কয়েক বছর একটানা কাজহীন অবস্থায় দিনযাপন। অভিনেতাদের জীবন সহজ নয়। এ জগতে সবসময় ইঁদুর দৌড় চলে। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গেলেও পা টেনে ধরার মানুষের অভাব নেই। অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের (Vivek Oberoy) কেরিয়ারও এমনি উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। পরপর হিট ছবি দেওয়ার পরেও কাজের অভাবে বেকার বসে থাকতে হয়েছে তাঁকে।
বিবেকের সঙ্গে সলমন খানের শত্রুতার কথা সকলেরই জানা। ভাইজানকে ছেড়ে বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ঐশ্বর্য। শোনা যায়, তারপর থেকেই অভিনেতার উপরে খাপ্পা হয়ে ওঠেন সলমন। এমনকি বিবেকের বলিউড কেরিয়ার শেষ করে দিতেও উঠেপড়ে লেগেছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেক জানান, কিছু ক্ষমতাশালী লোকজন তাঁকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
সরাসরি কারোর নাম না নিয়েই অভিনেতা বলেন, বলিউডের কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের লবি তাঁকে টেনে নীচে নামানোর চেষ্টা করেছিল। শুটআউট অ্যান্ড লোখন্ডওয়ালা ছবিটি হিট হওয়ার পরেও প্রায় দেড় বছর কোনো কাজ ছিল না বিবেকের কাছে।
অভিনেতা জানান, কেরিয়ারের অত্যন্ত অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিবেক বলেন, ‘বলিউড অত্যন্ত নিষ্ঠুর একটা জায়গা যা আপনাকে ধ্বংস করে ফেলবে।’ নিজের স্ত্রী, পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওদের প্রার্থনাই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। নয়তো আমি হাল ছেড়েই দিয়েছিলাম। চারপাশে এত নেতিবাচকতা আমাকে বিষন্ন করে তুলেছিল। আর হয়তো সেটাই ওদের উদ্দেশ্য ছিল, মানসিক ভাবে ভেঙে দেওয়া।’
সাক্ষাৎকারে এক বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন বিবেক। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে নিজের মিল পেয়েছিলেন তিনি। অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন বিবেক। ওই অন্ধকার, কষ্টটা অনুভব করতে পেরেছিলেন তিনি।
বিবেক বলেন, যখন মিথ্যেটা বারংবার বলা হতে থাকে তখন সেটাই সত্যি হয়ে ওঠে। মিথ্যেটাই সত্যি বলে বিশ্বাস করানো হয়। কিন্তু নিজের আত্মবিশ্বাস, মনের শান্তি থেকে এটা উপলব্ধি করা যায় যে আসল সত্যিটা কী। ওই কঠিন সময়টা থেকে বের করে আনার জন্য স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে ধন্যবাদ জানান বিবেক।
প্রসঙ্গত, বিবেককে শেষবার দেখা গিয়েছে ‘ধারাভি ব্যাঙ্ক’ ওয়েব সিরিজে। তিনি ছাড়াও ওই সিরিজে ছিলেন সুনীল শেট্টি এবং সোনালি কুলকার্নি। আগামীতে রোহিত শেট্টির ডেবিউ OTT প্রোজেক্ট ইন্ডিয়ান পুলিস ফোর্স সিরিজে দেখা যাবে বিবেককে।