বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিশ্বের স্মার্টফোন বাজারে চিনা সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্ত কারও অজানা নয়। একইসঙ্গে ভারতে স্মার্টফোনের এই বিরাট চাহিদা সম্পর্কেও বিশ্বের তাবড় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি অবগত। সেই কারণে ভারতকে তারা বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাক্ষেত্র হিসেবে দেখে এসেছে। প্রতি বছরই ভারতে বিদেশি লগ্নি বাড়ছে। সম্প্রতি অ্যাপল (Apple) ভারতে তাদের আইফোন তৈরির কথা ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে নতুন দু’টি দোকান খোলার কথাও জানিয়েছে তারা।
সংস্থা সূত্রে খবর, মুম্বই ও দিল্লিতে নতুন দু’টি দোকান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে অ্যাপলের। প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ রয়েছে। সীমান্তের কার্যকলাপের জন্য চিনের বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভারতে। একইসঙ্গে চিনা পণ্যের উপর নির্ভরতা কমানোর আবেদনও করা হয়েছিল ভারতীয় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছে। সেই ফল হাতেনাতে মিলেছে। এ বার অ্যাপলের পাশাপাশি চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক ভিভোও (Vivo) ভারতে লগ্নি বাড়াতে চলেছে।
চলতি বছরের শেষের মধ্যে ভারতে ১১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে এই সংস্থা। উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় কারখানা তৈরি করছে ভিভো। কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, ২০২৪ সালের শুরুর দিকেই উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে এই কারখানা থেকে। ভারতে নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে লগ্নির মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে এই চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক। এই প্রসঙ্গে তারা জানিয়েছে, গ্রেটার নয়ডায় একটি নতুন কারখানা তৈরি করছে তারা।
যা আগামী বছরের শুরুর দিকেই কাজ শুরু করে দেবে। তারা জানিয়েছে, ২০২৩ -এর শেষের মধ্যেই ১০ লক্ষেরও বেশি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ স্মার্টফোন রফতানি করবে তারা। ২০২২ সালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ স্মার্টফোনের প্রথম কনসাইনমেন্ট থাইল্যান্ড এবং সৌদি আরবে পাঠিয়েছিল তারা। ভারতে মোট ৭৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে ভিভো। চলতি বছরের শেষের মধ্যেই বিনিয়োগের প্রথম ধাপের ৩৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। তারা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছে তারা।
ভারতকে একটি রফতানির কেন্দ্র বানাতে চায় ভিভো। গ্রেটার নয়ডার কারখানায় কয়েকটি প্রশাসনিক অনুমোদন বাকি। এগুলি হলেই ১৬৯ একর জমিতে কারখানা তৈরির কাজ শুরু করা হবে। এই কারখানাটি বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ স্মার্টফোন উৎপাদন করতে পারবে। ভিভো ছাড়াও অ্যাপলও ভারতের বাজারে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। গত অর্থবর্ষে ভারতে আগের চেয়ে তিন গুণ বেশি উৎপাদন করেছে মার্কিন সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ৭০ কোটি ডলার মূল্যের আইফোন উৎপাদন করতে চায় অ্যাপল। ফক্সকন এবং পেগ্রাট্রনের সঙ্গে যৌথভাবে এ দেশে উৎপাদন করছে অ্যাপল।