বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাশিয়ার (Russia) রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) সোমবার ৬ ডিসেম্বর প্রায় ৬ ঘণ্টার সফরে ভারতে (India) এসেছিলেন। সোমবার পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই সাক্ষাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিও হয়। দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের এই সাক্ষাৎ অনেক দেশের ঘুমও কেড়ে নিয়েছে। বিশেষ করে ভারতের শত্রু চীন আর পাকিস্তান পুতিনের ভারত সফর নিয়ে চিন্তায় রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউস এই ঐতিহাসিক বৈঠকে সাক্ষী হয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবি শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়নি, এই ছবিগুলি সীমানা পেরিয়ে বহু দেশে বার্তা পাঠিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে বিশ্বে অনেক পরিবর্তন হয়েছি ঠিকই, কিন্তু ভারত আর রাশিয়ার বন্ধুত্বের সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সাক্ষাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ভারতকে বড় শক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উনি সন্ত্রাস ও সংগঠিত অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পুতিন আফগানিস্তানের ঘটনাক্রম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুতিন বলেন, ভারত ও রাশিয়া এই অঞ্চলের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির বিষয়ে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধুত্বের উষ্ণ জবাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, পৃথিবী বদলেছে কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা আফগানিস্তান এবং অনেক বৈশ্বিক বিষয়ে যোগাযোগ রেখেছি।
সোমবার ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যে ২৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা থেকেই বিশ্বের দুই বড় নেতার বৈঠকের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। এর আগে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে টু প্লাস টু আলোচনাও হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাদের রুশ প্রতিপক্ষের সাথে দেখা করেছেন। এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
India, Russia sign record 28 MoUs, programme of cooperation in defence for 10 years
Read @ANI Story | https://t.co/eIWNf9vn7y#India #Russia pic.twitter.com/AlCZVqM2pu
— ANI Digital (@ani_digital) December 6, 2021
পুতিনের ৬ ঘণ্টার ভারত সফরে বড় বার্তা পেল বিশ্ব। আইএসআইএস, আল কায়েদা এবং লস্করের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং অর্থায়নের জন্য আফগানিস্তানকে ব্যবহার করা উচিত নয় বলে সহমত প্রকাশ করেছে দুই পক্ষই। পাশাপাশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার বিষয়েও একমত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ও চীনের দুশ্চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক।