বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজ বাদে কাল মহালয়া (Mahalaya), তারপর আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই শুরু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। বাংলাজুড়ে সাজো সাজো রব। সাধারণ মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই কটা দিনের জন্য, আনন্দ-হই হুল্লোড় করতে। আবার কিছু মানুষ রয়েছেন, যারা অফিস ছুটির অজুহাতে পুজোর চার-পাঁচটা দিনে একেবারে গুছিয়ে মদ খান। সুরাপ্রেমী (Liquor Lover) এই ধরনের মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়।
কিন্তু জানেন কি, পুজোর (Durga Puja) কোন দিন কোন মদ (Liquor) খাবেন তা আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া উচিত, যাতে পরে না সমস্যায় পড়তে হয়। কারণটা শুনলে চমকে যাবেনই বটে।
এবছর সপ্তমী (Saptami) পড়েছে শনিবার। আর দশমী মঙ্গলবার (Tuesday)। তার মানে সুরাপ্রেমীরা এই লং উইকএন্ডে শুক্রবারই অর্থাৎ ষষ্ঠীর অফিস সেরেই তৃপ্তি করে মদে চুমুক দেবেন। ওই দিন একটু বেশি রাত পর্যন্ত আসর জমতেই পারে। তাই আড্ডাটা দীর্ঘায়িত করতে হুইস্কি (Whiskey) বা স্কচ (Scotch) খেতে পারেন, কারণ এই জাতীয় মদে নেশা হয় ধীরে ধীরে। ফলে সময়টা অনেকটা বেশি মিলবে।
সপ্তমী, অষ্টমী আর নবমী। এই তিনদিনে তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা থাকছে না। ‘জি লে আপনি জিন্দেগি’। কারণ এই তিনদিন অফিসের ব্যাপারটাই মাথায় আসবে না। ফলে রাম (Rum), ভদকা (Vodka) কিংবা রেড ওয়াইনেও (Red Wine) ডুব দিতে পারেন। তবে প্যান্ডেল হপিংয়ের ব্যাপারটা থাকলে কড়া নেশা না করাই ভালো।
দশমীর দিন একটু সংযত হতে হবে। উপরের দিনগুলিতে মদের ধরনে আপনি পছন্দমতো বদল করতে চাইলে করতেই পারেন, তবে মঙ্গলবার, দশমীর দিনে এই নিয়ে ভাববার কারণ রয়েছে। পাড়ার বিসর্জন রয়েছে। আমজনতা আবার কোমর দোলানোর জন্য একটু-আধটু সুরা না খেয়ে পারে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, পরদিন অর্থাৎ বুধবার ছুটি শেষে ফের ছুটতে হবে। মানে অফিস যেতে হবে।
তাই ওই দিন বিসর্জনে অংশ নিলেও বিয়ার (Beer) বা রেড ওয়াইন খান। আর খাওয়ার পর দিনের শেষে একটু স্নান করে লম্বা ঘুম (Sleep) দিন। হ্যাঁ, অন্যান্য দিন রাত হলেও এদিন কিন্তু সব কিছু সেরে যত সম্ভব দ্রুত বিছানায় যেতে হবে। টানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম হলে যেমন হ্যাংওভারও থাকবে না, তেমন শরীরও হবে পুরো চনমনে। পরদিন থেকে অফিসে (Office) ছুটতে হবে কিংবা যার যার কর্মক্ষেত্রে। তাই ভেবে চিন্তে, আগেভাগেই মদ খাওয়ার তালিকা তৈরি করে রাখুন।