বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। রাজ্য জুড়ে চলছে ভোটের প্রচার। তৃণমূল (All India Trinamool Congress) হোক বা বিজেপি (Bharatiya Janata party) বা সিপিএম, সবাই জোর কদমে চালাচ্ছে নিজের নিজের প্রচার (Campaign)। রাজ্যের প্রতিটি শহরে গ্রামের বিভিন্ন দেওয়াল লিখন বা লিফলেটিং-এর মাধ্যমেও চলেছে ভোটের প্রচার। কিন্তু এর মধ্যেও থাকে কিছু ব্যতিক্রম। সেই রকমই ঘটনা ঘটেছে মালদহের (Malda) জেলা সদর শহর ইংরেজবাজার থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে পুরাতন মালদহ ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁসিপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার সাধারণ মানুষরা এলাকার নেতা মন্ত্রীদের বিতশ্রদ্ধ হয়ে তাঁদের গ্রামের দেওয়ালে লেখেন যে, ‘এই গ্রামে নেতা মন্ত্রীদের প্রবেশ নিষেধ”। কিন্তু কী কারণে এই ফরমান জারি করেছেন গ্রামের লোকেরা? তাঁদের দাবী তাঁদের গ্রামের রাস্তা ভালো নয়, এবং রাস্তা ভালো করার দাবীতে তাঁরা গ্রামের প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীর কাছে তাঁরা বারবার দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু কোনো সাহায্যই পাননি। তবে নেতা মন্ত্রীদের থেকে মিলেছে আশ্বাস। তাঁরা গ্রামবাসীদের দিয়ে গেছেন প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি।
এইসবের মধ্যেই গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে ‘দিদির দূত’ অনুষ্ঠান। জায়গায় জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছেন দলের প্রতিনিধিরা। এছাড়া দুয়ারে সরকার, অনুষ্ঠান তো আছেই। এদিকে, তৃণমূল নেতার দাবি, ‘‘বিজেপির ফাঁদে পড়়ে গ্রামবাসীদের কয়েক জন এমন দেওয়াল লিখেছেন। তাতে অবশ্য বিজেপি হালে পানি পাবে না।’’ দেওয়াল লিখন নিয়ে মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর কথায়, ‘‘দিদির ভূতের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। আবার হয়তো প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কাটমানি তোলার ফন্দি করেছেন দিদির ভাইয়েরা। তাই ‘দিদির দূত’দের গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে প্রচার করছেন এলাকাবাসী।’’
চলুন জেনে নেওয়া যাক কী বলছেন গ্রামের লোকেরা। ললিতা চৌধুরী নামে গ্রামের এক মহিলার দাবী যে, তাঁদের গ্রামে দেখার মতো বা কাজ করার মতো কিছুই নেই। তাই গ্রামে কোনো প্রতিনিধি তো দূরে থাক, গ্রামে ‘দিদির দূত’ হয়ে যাঁরা আসবেন তাঁদের কাউকেই ঢুকতে দেবেন না গ্রামবাসীরা। আর তাঁরা ভোটও দেবেন না। গোপাল ঋষি নামে আর একজন জানান যে, গত তিন বছর ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে তাঁরা বলে আসছেন কিন্তু গ্রামে কোনো কাজ হয়নি। গ্রামে না আছে জলের ব্যবস্থা, না আছে রাস্তা এমনকী গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থাও ভালো নয়। তাই নেতা মন্ত্রীদের প্রবেশ নিষেধ।